34 C
আবহাওয়া
৯:৩৭ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চালু হচ্ছে চসিকের ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার

চালু হচ্ছে চসিকের ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার

চালু হচ্ছে চসিকের ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এবার ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তুলছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। নগরীর লালদিঘী পাড়ের সিটি করপোরেশন লাইব্রেরী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে এ আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হবে। আগামী ৬ এপ্রিল আইসোলেশন সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।

শনিবার (৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সিটি মেয়র রেজাউল বলেন, আইসোলেশন সেন্টারটিতে চিকিৎসাধীন রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ওষুধ ও অক্সিজেন সাপোর্ট পাবেন। রোগী পরিবহন ও স্থানান্তরের জন্য সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস থাকবে।

তিনি বলেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে মাইকিং ও সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা পালন ও অনুসরণে বাধ্যবাধকতা সম্পর্কেও নগরবাসীকে সর্তক করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুমন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে আইসোলেশন সেন্টারটিতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সেবাগ্রহণকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবানসহ জীবাণুনাশক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।

এর আগে গত বছরের ২১ জুন চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে সিটি কনভেনশন সেন্টারে ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। করোনার ডামাডোল কমে যাওয়ার পরে তা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন চসিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল— এ সেন্টারে প্রথমত কোভিড-১৯ আক্রান্ত মৃদু ও মাঝারি পর্যায়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর কোনো রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স করে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। ভর্তি হওয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হবে চসিকের পক্ষ থেকে।

এদিকে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৬৭ জনের দেহে। এদের মধ্যে ৩৮৫ জন নগরীর ও ৮২ জন বিভিন্ন উপজেলার। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪১ হাজার ২৬৮ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেছেন মোট ৩৮৯ জন। এর মধ্যে ২৮৫ জন নগরীর ও ১০৪ জন বিভিন্ন উপজেলার।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ