বিএমএ, জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জের কামালপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার(১ অক্টোবর) রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূর বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার পাররামরামপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে। জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, কয়েকমাস পূর্বে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কামালপুর গ্রামের কপিল হোসেনের ছেলে শফি আলমের (২৬) সাথে ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূ স্বামীকে নিয়ে গাজীপুরে বসবাস করে আসছিলেন। বিগত ১০/১২ দিন পূর্বে পারিবারিক কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর পর স্বামী শফি আলম গাজীপুর থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন কামালপুর গ্রামে চলে আসেন। স্বামী ফিরে না যাওয়ায় স্বামীর অভিমান ভাঙ্গাতে ওই গৃহবধূ বকশীগঞ্জের দক্ষিণ কামালপুর গ্রামে আসে। দক্ষিণ কামালপুর থেকে রাজু মিয়া(৩৫), সেলিম মিয়া(২৪),হেলিম মিয়া(১৯) ও রফিকুল ইসলাম বাচ্চা গেল্লা(৩৫) ওই গৃহবধুকে অপহরণ করে কামালপুর গ্রামের মাইনুল মিয়ার বাড়ির নিকট নিয়ে যায়। এরপর চারজন অপহৃত গৃহবধূকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই চারজন দ্বারাই ২য় বারের গণর্ধষণের শিকার হয় বকশীগঞ্জের কামালপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নাফিউল হকের পরিত্যাক্ত বাড়িতে।
বিষয়টি বকশীগঞ্জ থানাকে অবহিত করলে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ কামালপুর গ্রামের শহীদ জামালের ছেলে রাজু মিয়া, দুলু মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া, জব্বার মিয়ার ছেলে হেলিম মিয়া ও হাবিবুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাচ্চা গেল্লাকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় ওই গৃহবধূ।
এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় চারজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। বকশীগঞ্জ থানার মামলা নং ১। নারী ও শিশু র্নিযাতন দমন আইনের ২০০০(সংশোধনী/০৩)/৭/৯(৩)। মামলার বাদি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের কন্যা জারফিনা খাতুন।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, ভিকটিম উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ৪ জন আসামি। গ্রেফতারকৃত আসামিদের রোববার সকালে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলমান।
বিএনএ/শাহীন,এমএফ