বিএনএ, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগন্জের সিরাজদী খান উপজেলা এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় শেখ মোকলেছ (৫০) ও শেখ ইমন (২৬) নামের দুইজন গুলি এবং বোমায় আহত হয়েছেন। তারা আশংকাজনক অবস্হায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০১ ওয়ার্ডে এসে নির্বাচনে পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থী সমর্থকরা তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকী দেয়। এক পর্যায়ে তাদেরকে মারধরের চেষ্টা করে। ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের লোকজনের প্রতিবাদে তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
হাসপাতালে বোমায় আহত মোকলেছ জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর সিরাজদী খান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আমাদের মেম্বার পদপ্রার্থী মো. সহিদুল বিজয় লাভ করেন। পরে তিনি গত ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে একই এলাকার লোকজন নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আযোজন করেন। সভার কার্যক্রম শেষ করে রাতে বাড়ী ফেরার সময় একই ইউনিয়নের পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থী মো ইসলামের সমর্থক ফজলে রাব্বী, শেখ হক, শেখ ইসলাম, শেখ শামসুল হক, হারুন, মানিক, মন্টু, রাসেল, রাকিব, ও মিজানসহ ১০/১২জন মিলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা আমাদেরকে লক্ষ করে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় আমাদের ৮/৯জন আহত হয়। এদের মধ্যে আমি পায়ে বোমায় আহত ও ইমন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। আমরা দুইজন ঢামেক হাসপাতালে আছি। অন্যরা স্হানীয় হাসপসতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কারণে আজ দুপুরে ওই সন্রাসীরা ঢামেক হাসপাতালে এসে আমদেরকে বিভিন্ন ধরনে হুমকী দেয়। তারা উত্তেজিত হয়ে মারধরের চেষ্টা করে। পরে অন্য রোগীর লোকজন এসে প্রতিবাদ করলে তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা এলাকাতে একের পর এক সন্রাসীর কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের নিরাপদহীনতা ভুগছি। তাই স্হানীয় প্রসাশনে কাছে আহবান করি ওই সন্রাসীদের হাত থেকে এলাকা নিরিহ মানুষদেরকে বাঁচান।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মুন্সিগন্জের সিরাজদী খান থেকে গুলিবিদ্ধ ও বোমায় আহত অবস্থায় দুইজনকে ঢামেক হাসপাতেলে আনা হয়। এখানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতিপক্ষরা হাসপাতালে এসে তাদেরকে হুমকী দিয়েছে বলে রোগীর লোকজন অভিযোগ করেন। সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
বিএনএ/ আজিজুল, ওজি