বিএনএ, ঝিনাইদহঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে শৈলকুপার তৃণমুলে সংঘর্ষ ও বিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার(৩০ ডিসেম্বর) আহত এক যুবলীগের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এছাড়া উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের ভগবাননগর গ্রামে জাতীয় পতাকাসহ নৌকা প্রতিকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে নৌকার প্রতিপক্ষকে।
অন্যদিকে সারুটিয়া ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থক শফিকের একটি ঘর রহস্যজনক ভাবে আগুনে পুড়েছে। এ নিয়ে নৌকার প্রার্থীকে দোষারোপ করছে। সব মিলিয়ে ঘরের আগুনে পুড়ছে শৈলকুপা আওয়ামীলীগ।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ১৭ ডিসেম্বর শৈলকুপা শহরের হাসপাতাল এলাকায় আওয়ামলীগের মেয়র গ্রুপের হামলায় আহত হন স্বপন শেখ (৩৫) ও রাব্বি নামে দুই যুবলীগ কর্মী। আহতরা ইকু শিকদার গ্র্পের সমর্থক। এই হামলায় আহত স্বপন শেখ ১৪ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার পর শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে মারা যান। নিহত স্বপন শেখ পেশায় পরিবহন শ্রমিক। তিনি শৈলকুপার কবিরপুর গ্রামের মৃত আহম্মদ শেখের ছেলে। হামলার সময় তাদের ব্যবহৃত দুইটি মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ ব্যাপারে ১৮ ডিসেম্বর ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টার মামলা হয়। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার আসামীরা আদালত থেকে জামিন লাভ করেন।
নিহত’র ছোট ভাই আকাশ শেখ অভিযোগ করেন, মেয়রের সমর্থক মালিপাড়ার সাহেব আলী, তরুণ ও সোহল আদালত থেকে জামিন পেয়ে ফেসবুকে মিথ্যা মামলা থেকে জামিন বলে সেলফি দিয়েছে। অথচ শুক্রবার তার ভাইয়ের মৃত্যু হলো। তিনি ঘাতকদের জামিন বাতিল করে বিচার দাবী করেন।
নিহত স্বপনের স্ত্রী চম্পা খাতুন বলেন, তার তিনটি কন্যা সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল। নোংরা রাজনীতির বলি হয়ে তার স্বামীর জীবনটাই বিপন্ন হলো। তিনি ঘাতকদের উপযুক্ত বিচার দাবী করেন।
এ সব বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি যুবলীগ কর্মী স্বপনের মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। অপরাধী যেই হোক কোন ছাড় পাবে না । বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। তিনি বলেন, ফুলহরি গ্রামে নৌকা ও সারুটিয়া ইউনিয়নে বাড়িতে আগুন দেওয়ার বিষয়টি নিবিড় ভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিএনএ/ আতিক, ওজি