বিএনএ, ঢাকা : করোনার থাবা ছিল, ছিল লকডাউন-ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। এসব সত্বেও চলতি বছর একমাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় ৪ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। অবশ্য শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ রপ্তানি বেশি হয়েছে। রপ্তানির এমন রেকর্ড নতুন করে আশা তৈরি করেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, অক্টোবরে রপ্তানি খাতে নির্ধারিত ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অতিক্রম করেছে দেশ। বার্ষিক ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে রপ্তানি আয়।
এছাড়া, একই মাসে পোশাকের চালান ৫৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বছরে ৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মোট রপ্তানি আয় ১৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।
জুলাই-অক্টোবরের আয় গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্জিত ২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে ২২ শতাংশ বেড়েছে। তাছাড়া, এই সময়ে প্রাপ্ত আয় নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।
এই অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে। এছাড়া, উভেন আইটেমগুলো লাভ করেছে ১ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছর থেকে এই দুই ক্ষেত্রেই ৫২ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে।
এদিকে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরের আয় ছিল ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোতে পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভব হয়েছে এটি।
কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় ২৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ক্ষেত্রে আয় বেড়েছে ২৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এছাড়া, প্রকৌশল পণ্য থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪২ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
তবে এ বছর হতাশার খবর পাট ও পাটজাত পণ্য খাত। এ খাতে আয় কমেছে ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ।
নতুন নতুন কার্যাদেশ কিছুটা স্বস্তিতে পোশাক রপ্তানিকারকরা। তবে কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতিতে মুনাফা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। তার ওপর নতুন করে ইউরোপে করোনার ঢেউ কিছুটা দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ব্যবসায়ীদের।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।