বিএনএ,ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি।তাদের মধ্যে দু’জন রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হাসান মাহমুদ, মানিক কুমার প্রামানিক, মো. শরিফুল ইসলাম, রিপন কুমার, নাফিউল ইসলাম তাহসিন, রকিবুল হাসান ও রাশেদুল সজিব।এদের মধ্যে রাকিবুল হাসান জনতা ব্যাংকের মতিঝিল শাখা এবং মানিক কুমার রাজশাহী অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার।
সিআইডি জানায়,আটককৃতদের মধ্যে হাসান মাহমুদ ও রাশেদুল সজিবকে গত ২২ ডিসেম্বার রাজধানীর মালিবাগ মোড় থেকে আটক করা হয়।এদের তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের বিভিন্নস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার(৩১ ডিসেম্বর) সিআইডির সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাইবার ক্রাইমের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কামরুল আহসান। তিনি বলেন, তিনটি গ্রুপ মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করতেন।এদের মধ্যে একটি গ্রুপ ছাত্র সংগ্রহ, একটি প্রশ্নপত্রের সমাধান তৈরি এবং আরেকটি গ্রুপ পরীক্ষার কেন্দ্রে দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত ছিল।চক্রটি এ কাজ করে এরই মধ্যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।চক্রের সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং বেশিরভাগই সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে কর্মরত। এই চক্রের সহায়তায় যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চিহ্ণিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান মো. কামরুল আহসান।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম বলেন, এই চক্রটি হোয়াটঅ্যাপস গ্রুপ খুলত।তাতে যারা অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কিংবা চাকরি নিতে চান তারা যুক্ত হতেন।পরে পরীক্ষার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দিতেন।মানিক কুমার প্রামাণিক এই কাজ করতে গিয়ে প্রায় তিন কোটি ৩৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছেন বলেও জানান সিআইডি এই কর্মকর্তা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি