বিএনএ ডেস্ক: সহিংসতা নয় রাজনীতির সংস্কৃতি অনুযায়ী মিছিল-মিটিং সমাবেশ হবে। তাতে ডিএমপি বাধা দেয় না, দেবেও না। তবে মিছিল-মিটিং সমাবেশের নামে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এ কথা বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে কমিশনার‘স মিট দ্য প্রেসে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, রাজনীতিবিদের কাজ রাজনীতি করা। রাজনীতিতে নাক গলানো বা মাথা ঘামানো পুলিশের কাজ নয়। রাজনৈতিক দলের কাজ রাজনীতি করা। রাজনৈতিক দল মিটিং-মিছিল করবে, সেটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। সেখানে পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা।
কেউ রাজনীতির নাম নিয়ে যদি গাড়ি ভাঙচুর করে, আগুন দেয়, রাস্তার গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করে তাহলে তা হবে ফৌজদারি অপরাধ। ফৌজদারি অপরাধ না করলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কিন্তু ফৌজদারি অপরাধ করলে কঠোর হস্তে তা দমন করা হবে।
থানার সেবার মান বৃদ্ধির বিষয়ে নতুন কমিশনার বলেন, পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে থানার কাজ। যেকোনো সমস্যায় মানুষ আগে থানায় যায়। বেশ কয়েক বছর যাবত থানাকে গণমুখী সেবামুখী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। থানায় গিয়ে জিডি ও মামলা করতে কেউ হয়রানির শিকার হয়েছেন কি না তা মনিটরিং করা হচ্ছে। থানায় কেউ গেলে প্রথমে সেইন্ট্রি ও বকসি বা মুন্সির কাছে বাধাগ্রস্ত হন। কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, তা মনিটরিং করতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি।
থানার প্রত্যেক ওসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রত্যেক শুক্রবার নতুন নতুন মসজিদে নামাজ পড়বেন। তাদের বক্তব্য দিতে হবে, বলতে হবে আমার থানায় সেবা নিতে কোনো টাকা লাগে না। এই বক্তব্যের পর যদি তার চক্ষুলজ্জা থাকে তাহলে তিনি আর অন্যায় করতে পারবেন না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় ৪টি সরকারি নম্বর দেয়া থাকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তারা ফোন রিসিভ করেন না। ব্যস্ততার কারণে যদি কেউ ধরতে না পারেন সেটা আলাদা। কিন্তু ইচ্ছেকৃতভাবে যদি কেউ না ধরেন তাহলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, থানায় যদি না পান তাহলে ৯৯৯-এ ফোন করেন। সেখানে প্রতিদিন লক্ষাধিক ফোন আসে।
বিএনএ/এ আর