বিএনএ নোয়াখালী: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর এলাকায় কাভার্ডভ্যান ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। রোববার (৩১ অক্টোবর) বসুরহাট বাইপাস সড়কের রামদী এলাকায় এই দুঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর গ্রামের বগালা মিস্ত্রি বাড়ির মৃত মতিলাল সূত্রধরের ছেলে নয়ন সূত্রধর (৪৫) এবং একই বাড়ির কান্তি কুমার সূত্রধরের মেয়ে চন্দনা রানী সূত্রধর (২৫)।
নিহত নয়ন সূত্রধরের ভাই জয়ন্ত্র সূত্রধর জানান, সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চাচাতো বোন চন্দনা রানী সূত্র ধরের স্বামীর বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শাহজাদপুর গ্রামে নিজবাড়ি ফিরছিলেন। দুপুরে তাদের গাড়িটি বসুরহাট বাইপাস সড়ক অতিক্রম করছিল। সে সময় সামনে থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান তাদের গাড়িকে চাপা দিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানসহ চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। রোববার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার নিয়ামতপুরে সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক রংপুর বিভাগীয় শহরের পার্কপাড়া এলাকার মমতাজ আলীর ছেলে তহিদুল ইসলাম(৪০) ও দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার মল্লিকপাড়া এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে মঞ্জুর আলী(৫৯)।
স্থানীয়রা জানান, ফাহিম এন্টারপ্রাইজের একটি বাস ঠাকুরগাঁও থেকে বগুড়া যাচ্ছিল। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসটি মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক তহিদুল ইসলামকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যাযন তিনি। সে সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের নিচে ধানক্ষেতে পড়ে যায়। এতে বাসের ভেতরে থাকা যাত্রী মঞ্জুর আলী মারা যান।
নীলফামারী জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম সরকার বলেন, খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায েবলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি