18 C
আবহাওয়া
১২:৪১ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা 

রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা 

রাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি

বিএনএ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি করবে না বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

বুধবার (৩১ আগস্ট) বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরের অভিজ্ঞতা জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেশটির জ্বালানিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোহে ডব্লিউ ফারনান্দেজের কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি জানান, জ্বালানি, সার ও খাদ্যপণ্য আমদানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এ হিসেবে রাশিয়া বা অন্য উৎস থেকে তেল আমদানি করা হলে তাদের আপত্তি থাকার কথা নয়।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, তবে রাশিয়া কম দামে তেলে দেবে, তা জানা যায়নি। তাই তাদের তেল এলেই জ্বালানি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এটা বলা যাচ্ছে না।

উপদেষ্টা বলেন, জ্বালানি খাতের সমস্যা বৈশ্বিক। দেশের কোনো কোনো পক্ষ, কিছু গণমাধ্যম এটিকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানির দাম কমে গেলে বাংলাদেশের আর কোনো সমস্যাই থাকত না। এখন যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা মূলত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে।

রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেলের নমুনা আনা হয়েছে

রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেলের নমুনা আনা হয়
রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেলের নমুনা আনা হয়

এদিকে দেশে জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় রাশিয়া থেকে আমদানির জন্য সম্প্রতি তেলের নমুনা আনা হয়েছে। অপরিশোধিত সেই তেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পাঠানো হয়।

বিপিসি তখন জানান, প্রাথমিকভাবে রাশিয়া থেকে ৫০ লিটার তেল আনা হয়েছে। ইস্টার্ণ রিফাইনারিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে তা বাংলাদেশের জন্য উপযোগী কি না। রাশিয়ান তেলে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকায় তা পরিশোধনে খরচ বেশি পড়তে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দেয়। বিশ্ববাজারে তেলের দামের বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। এরই মধ্যে রাশিয়া কম মূল্যে তেল আমদানির প্রস্তাব দেয়।

সংকট মোকাবেলায় গত ১৬ আগস্ট একনেক সভায় রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়টি পর্যালোচনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা তখন বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত যদি পারে, বাংলাদেশ কেন পারবে না। এরপর সরকারের বিভিন্ন মহলে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির উপায় বের করতে আলোচনা হয়। বিকল্প মুদ্রায় রাশিয়ার তেল আমদানির কথাও ভাবা হচ্ছিল।

আগস্টে ব্যারেলপ্রতি ৫৯ ডলারে বাংলাদেশের কাছে তেল বিক্রির প্রস্তাব দেয় রাশিয়ার তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি রোজনেট। প্রস্তাবের ভিত্তিতে অপেক্ষাকৃত কম ভারী অপরিশোধিত তেলের নমুনা পাঠায় রাশিয়া।

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) শোধন করে। সেখান থেকে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেনসহ বিভিন্ন রকম জ্বালানী তেল উৎপাদন হয়। বছরে ১৫ লাখ মেট্রিক টন তেল শোধনের ক্ষমতা আছে প্রতিষ্ঠানটির। সেখান থেকে বছরে ৬ লাখ টন ডিজেল পাওয়া যায়। আর দেশে ডিজেলের চাহিদা ৪৬ লাখ টনের মত। মোট জ্বালানি চাহিদার ৭৫ শতাংশই ডিজেল। তাই কম দামে ডিজেল কেনার আগ্রহ সরকারের।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ