বিএনএ ডেস্ক: যেখানে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সময়ের পর, শুক্র-শনিবার এবং রাতের বেলা চিকিৎসকই পাওয়া যায় না, সেখানে ঔষধের দোকান কেন খোলা রাখা হবে? এমন প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে নগর ভবনে সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। পাশাপাশি মেয়র তার অবস্থানে অনঢ় থাকা কথা পরিষ্কার করেন।
মেয়র তাপস বলেন, ওষুধের দোকান রাত ২টার পর খোলা রাখার কোন যৌক্তিকতাই দেখছেন না তিনি। সরকারি হাসপাতালে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সময়ের পর ডাক্তার পাওয়া যায় না। শুক্র-শনিবার হাসপাতালে ছুটিই থাকে পাশাপাশি রাতের বেলাও চিকিৎসক থাকে না বললেই চলে। সেখানে রাত ২টার পর ওষুধের দোকান কেন খোলা রাখতে হবে।
মেয়র বলেন, আগে তো চিকিৎসক ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তারপরই তো রোগীর জন্য ওষুধের দোকান খোলা রাখতে হবে। তারপরও কোনো হাসপাতাল থেকে যদি লিখিত কোনো আবেদন আসে সেটা অবশ্যই সেটা বিবেচনা করার কথা জানান দক্ষিণ সিটির মেয়র।
তাপস বলেন, নগরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটা কার্যকর করতে চাই। সেখানে দোকান-পাট, বিপণি বিতান, কাঁচা বাজার, রেস্তোরাঁর রান্নাঘর ও খাবার সরবরাহ, প্রেক্ষাগৃহসহ প্রতিষ্ঠান ভেদে বন্ধের সমসয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেয়র জানান, ওষুধের দোকানগুলোর জন্য বিশেষভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর বাইরে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়, তাহলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে। আবেদন যৌক্তিক হলে বিবেচনা করা হবে।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার বিষয়ে বিচ্ছিন্নভাবে আলোচনা হয়েছে। তবে সিটি করপোরেশনে কোনো পক্ষ বা ব্যক্তির কাছ থেকে এখনও কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি বলেন জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বিএনএ/এ আর