29 C
আবহাওয়া
৮:১৯ পূর্বাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিএনপির গুগলিতে আওয়ামী লীগ বোল্ড আউট : ফখরুল

বিএনপির গুগলিতে আওয়ামী লীগ বোল্ড আউট : ফখরুল


বিএনএ, ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২৮ ও ২৯ তারিখে (জুলাই) বিএনপির গুগলিতে আওয়ামী লীগ পুরো বোল্ড আউট হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ বুঝতেই পারেনি, কোন দিক দিয়ে বলটা আসতেছে।তিনি বলেন, ‘এই সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। এই সরকার এত ভীত যে, একটা প্রোগ্রামে তারা ১২শ’-১৩শ’ লোককে গ্রেফতার করেছে।’

সোমবার (৩১ জুলাই) বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের ‘হামলা এবং গ্রেফতারের’ প্রতিবাদে এই সমাবেশ করছে দলটি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম। মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এখন ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’

সরকারকে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তা না হলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমরা সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছি।

দাবি এক দফা। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও। না হলে পালাবার পথ খুঁজে পাবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আর আমানউল্লাহ আমানের সঙ্গে (গত শনিবার) যে নাটক হয়েছে সেই নাটকে ওনারা ছোট হননি। ছোট হয়েছ তোমরা।’

তিনি বলেন, ‘কয়েকটা লোককে বিদেশ থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছে। তার মধ্যে একটা নাকি আমেরিকার লোক। যার নামও কেউ কোনো দিন শোনেনি। সে আবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বক্তৃতা করে আর প্রেসকে বলে, এখানে কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট (তত্ত্বাবধায়ক) সিস্টেম চলবে না। বা রে বাহ! তুমি কে ভাই? হু আর ইউ! এদেরকে কেউ চেনে না। টাকা দিয়ে ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। এদের গতবারও নিয়ে আসা হয়েছে। যেই ফোরামের হয়ে তারা এসেছে সেই ফোরাম এবং এটার প্রতিষ্ঠাতা যে আবেদ তাকেও দেশের মানুষ কেউ চেনে না। এ ধরনের ভাঁওতাবাজি করে মানুষকে বোকা বানাতে চায় তারা।’

তিনি আরো বলেন, ‘অবৈধ সরকারের পুলিশ আমাদের ২৭ জুলাই সমাবেশ করতে দেবে না। আমরা তো পরের দিন করলাম। সেখানে প্রতিকূল পরিবেশেও টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। তাদের বার্তা ছিল―এই মুহূর্তে গদি ছাড়ো। আমাদের ছোট ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতেও সরকার ভয় পেয়েছে। তারা যুদ্ধের সাজে সাঁজোয়া যান নিয়ে নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলা করেছে। প্রবীণ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক থাকে না তারাই এগুলো করে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। এই সরকার এত ভীত যে, একটা প্রোগ্রামে তারা ১২শ’-১৩শ’ লোককে গ্রেফতার করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভয় না পাওয়ার’ বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাহলে ভয় পাচ্ছেন, যে অন্যায়- অত্যাচার নিপীড়ন ১৪-১৫ বছর ধরে… ৬শ’ মানুষকে গুম করেছেন। বিনা বিচারের হত্যা করেছেন। লাখো লাখো মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। তাতে ভয় তো পেতেই হবে। তারপরও বলি, এখনও সময় আছে। জনগণের ন্যায় সঙ্গত আন্দোলন, বৈধ আন্দোলন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দেবেন না।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা কাপুরুষ নন। গ্রেপ্তার করেন, লাভ হবে না। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন বন্ধ হবে না। এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না, হাসিনার গদি চুরমার হয়ে ভেঙে পড়বে।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ