বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : ইসরাইলের ছদ্মবেশী এলিট বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গোপন তৎপরতা আরও বাড়িয়েছে । যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ব্যাপক ধরপাকড়ের পাশাপাশি একের পর এক টার্গেট কিলিং চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সদস্যদের বাড়ি বা কর্মস্থল থেকে উঠিয়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। এই বাহিনীর হাতে সর্বশেষ টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন পশ্চিম তীরের আল-আমারি রিফিউজি ক্যাম্পের আহমেদ জামিল ফাহদ।
ফাহাদের পরিবার জানায়, ইসরাইলের একদল ছদ্মবেশী এজেন্ট তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাকে পেছন থেকে বেশ কয়েকটি গুলি করা হয়। গুলি করার পর তাকে রামাল্লার উম-আল শারায়িত এলাকায় ফেলে রাখা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান ফাহাদ।
টানা ১১ দিনের এই সংঘাতে নারী ও শিশুসহ ২৩২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ১১ দিনের বিরামহীন বিমান হামলার পর মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেও থেমে নেই ইসরাইল। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ঢালাও ধড়পাকড় চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। শুধু ধরপাকড়েই সীমাবদ্ধ নেই তারা। ছদ্মবেশে চালাচ্ছে গোপন হত্যা মিশনও।
আলজাজিরা জানিয়েছে, ফাহাদের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে ইসরাইলের ছদ্মবেশী এলিট স্পেশাল ফোর্স ‘মুসতারিবিন’ ইউনিটের সদস্যরা। এই ইউনিটটি প্রশিক্ষিত ইসরাইলি সেনাদের মাধ্যমে গঠিত।
বিএনএ/ ওজি