21 C
আবহাওয়া
৮:৫১ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘চট্টগ্রামে ১৫ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে যুক্ত’

‘চট্টগ্রামে ১৫ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে যুক্ত’

'চট্টগ্রামে ১৫ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে যুক্ত'

বিএনএ, চট্টগ্রাম:  চট্টগ্রাম শহরে পরিবহন খাতে ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের সাথে যুক্ত। দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ৩৩৮জন শিশুর উপর গবেষণা চালায় উন্নয়ন সংস্থা ‘ঘাসফুল’। তাদের গবেষণা জরিপের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায় ১৫% শতাংশ শিশু বিকল্প ড্রাইভার, ৫৭% শিশু হেলপারকাম ড্রাইভার হিসেবে পরিবহনে খাতে কাজ করছে।

জরিপে উঠে আসে, পরিবহন শ্রমে যুক্ত শিশুদের মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৯১ শতাংশ আর যৌন নির্যাতনের শিকার ১৩ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৩১মার্চ) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রামের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে ‘শিশু পরিস্থিতি চট্টগ্রাম : ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহন সেক্টর’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ঘাসফুলের আয়োজনে গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম-সচিব অধ্যাপক ড. জয়নাব বেগম।

গবেষণায় দেখা যায়, পরিবারের আর্থিক অনটনে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হচ্ছে ৯০ ভাগ শিশু। করোনামহামারীর সময় শহর থেকে গ্রামে চলে গেছে ৩৭ শতাংশ গরীব শিশুর পরিবার।

‘পরিবহন খাতে বৈধ লাইসেন্স ও নিয়োগপত্র শিশুশ্রম কমাতে পারে’

গবেষক ও সমাজবিজ্ঞানী ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী’র নেতৃত্বে গবেষণায় দেখা যায়, পারিবারিক আর্থিক অনটনে শিশুরা শ্রমের সাথে যুক্ত হচ্ছে। করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ মারাত্মকভাবে বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। পরিবারে খাদ্য সংকটে শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

পরিবারে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বেড়েছে বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম ও শিশুপাচার। বাল্যবিয়ে শুধু কন্যাশিশু নয় ছেলে শিশুদের মাঝেও এ প্রবণতা বাড়ার চিত্র গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম ও শিশুদের ভবিষ্যত সুরক্ষায় কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হয়। বলা হয়, সমতাভিত্তিক সমাজগঠনই শিশুশ্রম মুক্তির একমাত্র পথ। পরিবহন খাতে বৈধ লাইসেন্স ও নিয়োগপত্র নিশ্চিত করা গেলে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম অনেকাংশে প্রতিরোধ সম্ভব। তাদের ভবিষ্যত সুরক্ষায় বিকল্প ঝুঁকিহীন কাজের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এ. এফ. ইমাম আলি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত ডিআইজি (টুরিস্ট পুলিশ) চট্টগ্রাম বিভাগ, মোহাম্মদ মোসলিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, ঘাসফুলের সিইও আফতাবুর রহমান জাফরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঘাসফুল শিশু সুরক্ষা কর্মসূচির সমন্বয়কারী সিরাজুল ইসলাম।

গোলটেবিলে উপস্থাপিত গবেষণা তথ্যের উপর আলোচনায় অংশ নেন ব্র্যাকের বিভাগীয় প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মজুমদার, যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক সাঈদুল আরেফীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর’র সহকারী অধ্যাপক মারজিয়া খাতান স্মিতা, ঘাসফুল পরাণ রহমান স্কুলের অধ্যক্ষ মাহমুদা আকতার, স্বপ্নীল ব্র্যাইট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী শিকদার, পূর্বার নির্বাহী প্রধান ইঞ্জিনিয়ার শান্তুনু চৌধুরী বিজয়, নাট্যজন জোবায়দুর রশীদ, মাইশার নির্বাহী পরিচালক ইয়াছিন মন্জু, কারিতাস বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার এমদাদুল ইসলাম, ওয়ার্ড পর্যায়ের শিশু সুরক্ষা কমিটির সভাপতি সাধন সিংহ, পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি, চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খাঁন, আলোকিত গামের্ন্ট শ্রমিক ফেডারেশন’র কেন্দ্রীয় সভাপতি বাপ্পীদেব বর্মণ, সংশপ্তকের উপ-পরিচালক অগ্রদূৎদাশ গুপ্ত, পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি দিলীপ সরকার, শিশু প্রতিনিধি মো. সাকিব, কিশোরী দলের সভাপতি আয়েশা আকতার, অপারজেয় বাংলাদেশের প্রতিনিধি জিনাত আরা বেগমসহ আরও অনেকে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঘাসফুলের উপ-পরিচালক মফিজুর রহমান, সহকারী পরিচালক সাদিয়া রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক জেসমিন আকতার, কর্মকর্তা আবদুর রহমান, সুপারভাইজার বিদ্যুৎ কান্তি দেব, গুলশানারা, ইমরানা নাসরিন, জোবায়দা গুলশান আরা, মো. নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, নুরুল আজিম, তন্ময় বড়ুয়াসহ সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বিএনএ/ জেসমিন বাপ্পি/ এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ