বিএনএ, ঢাকা: প্রতিটি হাসপাতালেই এক্সরে মেশিনসহ সব ধরনের যন্ত্রপাতি থাকার কথা। অথচ সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে রোগীদের বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হয়। এতে সরকারি অর্থে কেনা মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার সাধারণ মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটি আর চলতে দেয়া যাবে না। দ্রুতই হাসপাতালগুলোতে সেন্ট্রাল নজরদারির জন্য সিসিটিভি বসানো হবে। এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক জানান, জেলা, উপজেলার সকল সরকারি হাসপাতালগুলো সেন্ট্রালি সুপারভিশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ক্রমান্বয়ে সব হাসপাতাল ডিজিটালাইজড করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত ১ম ডোজের ১৩ কোটি, ২য় ডোজের ১১ কোটিসহ লক্ষ্যমাত্রার ৯৬ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এখনও হাতে আছে ৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন। পাইপলাইনে আরো ৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এখনও যারা টিকা নেননি তারা টিকা নিলে দেশ আরো বেশি উপকৃত হবে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে গণটিকা কার্যক্রম আরো ৩ দিন বাড়ানো হয়েছে। গণটিকা কার্যক্রম চলবে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
১০টি ক্যাটেগরিত ৪৭টি ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার’ দেয়া হয়। এর মধ্যে সেরা ১০টি উপজেলা হাসপাতাল, সেরা ৫টি জেলা হাসপাতাল, সেরা ৩টি মেডিকেল কলেজ, সেরা ২টি বিশেষায়িত পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং সেরা ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বিএনএ/ এ আর