পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার(৩১মার্চ) বিকেলে নিজ বাসায় দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও তার সরকারের বিরুদ্ধে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র ও হুমকির অভিযোগ তুলেছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী, সদস্যরা হলেন কেন্দ্রীয় কয়েকজন মন্ত্রী,জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাগণ, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানগণ, এবং উচ্চ পদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিদেশি ষড়যন্ত্রের একটি ‘গোপন পত্র’ বিশ্বস্ত কয়েকজন সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিকে দেখান বলে ডন জানিয়েছে। যেখানে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয়, ইমরান খানের সরকারের পতন অনিবার্য। আর তা না হলে তার সরকারকে অনেক মূল্য দিতে হবে।
পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনও নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খানের ভবিষ্যতও রয়েছে ঝুঁকিতে। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি। ইমরানের বিরুদ্ধে আর্থিক অব্যবস্থাপনা এবং পররাষ্ট্রনীতির ভুলের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে শুরু হবে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি। ছোট ছোট কয়েকটি দলের সমর্থনে ক্ষমতায় টিকে যাওয়ার আশা করছেন ইমরান খান।
কাগজে কলমে পাকিস্তানের ৩৪২ আসনের পার্লামেন্টে পিটিআই এবং জোটসঙ্গীদের আসন রয়েছে ১৭৬টি। আর বিরোধীদের আসন রয়েছে ১৬৩টি। তবে মঙ্গলবার এমকিউএম জানায় তাদের সাত আইনপ্রণেতা বিরোধীদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবেন। পিটিআই এর বেশ কয়েক জন আইনপ্রণেতাও জানিয়েছেন তারাও বিরোধীদের পক্ষে ভোট দেবেন। তবে দলীয় নেতারা তাদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন