বিএনএ চট্টগ্রাম: ষষ্ঠ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরের পথে রয়েছে আরও আড়াই হাজার রোহিঙ্গা। বুধবার (৩১’শে মার্চ )সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে তাদেরকে নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ।
এরআগে মঙ্গলবার (৩০’শে মার্চ )সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৪৭টি বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়ার ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে দুই হাজার ৫৫৫ জন রোহিঙ্গাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঘাটে আনা হয়।
তবে এবার দফায় যারা ভাসানচর যাচ্ছে তাদের মধ্যে প্রায় ১৭০ পরিবার আছে যারা গত ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত।
কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, ৪৭টি বাসে করে ২ হাজার ৫৫৫ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে তাদের চট্টগ্রামে বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। বুধবার সেখান থেকে তাদের নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ভাসানচরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
একইভাবে বুধবারও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরও অন্তত দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পাঁচ দফায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। ষষ্ঠ দফায় স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক চার হাজার জনকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর জাহাজে করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ৮ ও ৯ নম্বর ক্যাম্প থেকে ১৭৩ পরিবার স্বেচ্ছায় ভাসানচর যাচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত যেসব পরিবার ভাসানচর যাচ্ছে তারা আগে থেকেই তালিকায় ছিল। এই দফায় আরও বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যেতে আগ্রহী। তাদেরকে শিগগিরই কক্সবাজার ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে নেয়া হবে ।
এরআগে পঞ্চম দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১৪ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি