বিএনএ, কক্সবাজার : মিয়ানমারের অস্থিরতায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী সীমানায় যাতে বিরূপ প্রভাব না পড়ে এজন্য সবোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে।
মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে অব্যাহত সংঘাত ও গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উপকূলের বাসিন্দারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে মানব পাচার, চোরাচালান, মাদকদ্রব্যের অবৈধ অনুপ্রবেশসহ নতুন ভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
এর প্রেক্ষিতে সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ টেকনাফ হতে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত দিনরাত নিয়মিত অত্যাধুনিক হাইস্পীড বোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
এছাড়াও টেকনাফ, শাহপরী, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনে বর্তমানে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং দেশের মানুষের জান মালের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদা প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আমরা যারা এপারে বসবাস করছি সবাই আতঙ্কে আছি, কখন কোন সময় কী হয় জানি না। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে।
বিগত ৮-১০ দিন থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে কী কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে তা এখনও জানা যায়নি।
মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত বর্তমানে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। কদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় ভারি অস্ত্র থেকে ছোড়া গুলি এবং মর্টারশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে আগুনের ধোঁয়া।
এর আগে ২০২২ সালেও মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষ হয়। তখনও মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা ও মর্টারশেল বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ে। অবশ্য মিয়ানমার সেনারা ওই ঘটনার দায় চাপায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর।
বিএনএ/ এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন, ওজি/ হাসনা