বিএনএ, ঢাকা : প্রতারণার অভিযোগে বন্ধ হওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের দুটি লকার ভাঙ্গা হয়েছে। ই-ভ্যালির কর্তৃপক্ষ পাসওয়ার্ড না দেয়ায় ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে লকারগুলো ভাঙা হয়। তবে লকারগুলো থেকে ২৫৩০ টাকা ও কিছু চেক বই ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় নি।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের নির্ধারিত পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা, ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্বাহী হাকিমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে সিন্দুক কেটে খোলা হয়। তবে তেমন কোন অর্থ না পাওয়ায় হতাশ পরিচালনা বোর্ড। একটি লকারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭ টি ও সিটি ব্যাংকের ১০ টি চেক পাওয়া গেছে। আরেকটিতে পঁচিশশো ৩০টাকা।
প্রথম লকার ভাঙার পর এক ব্রিফিংয়ে পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমরা আশা করেছিলাম লকার থেকে মূল্যবান কিছু পাব, অথবা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাব। কিন্তু দেখতেই পাচ্ছি সে রকম কিছু হলো না, এখন আমরা দ্বিতীয় লকারটি ভেঙে দেখব।
লকারটি ভাঙার আগে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গত ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিনকে ধানমন্ডি কার্যালয়ে লকারগুলোর কম্বিনেশন নম্বর (পাসওয়ার্ড) দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশিত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতিনিধিকে দ্রুত তাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতেও আইজি প্রিজনকে নির্দেশ দেন।
কিন্তু কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দুটির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। যে কারণে লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে লকার দুটি কাটা হলো।
উল্লেখ্য, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির নাম দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।