35 C
আবহাওয়া
১২:২৮ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ময়মনসিংহে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ভাই-বোনের মৃত্যু

ময়মনসিংহে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ভাই-বোনের মৃত্যু

ময়মনসিংহে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ভাই-বোনের মৃত্যু

বিএনএ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ভালুকায় কয়েলের আগুনে মায়ের সঙ্গে দগ্ধ হওয়া দুই শিশুর চার পা কেটে ফেলার পরেও বাঁচালো না জাফরা (৫) ও আট মাস বয়সী মায়ান। বড় বোন জাফরা’র মৃত্যুর চারদিন পর ৮ মাস বয়সী শিশু মায়ানেরও মৃত্য হয়েছে। একই হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মা মনি আক্তার।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ৮ মাস বয়সী মায়ান। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর (রোববার) দিবাগত রাতে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জাফরা (৫)।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুদের বাবার নামা রবিন মিয়া। তিনি ভালুকা খাদ্যগুদামের নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করেন। চাকরী করার সুবাদে তা স্বপরিবারে ভালুকা পৌর শহরের আবুল ফজল সাত্তারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাদের বাড়ি জেলার গফরগাঁও উপজেলায় মশাখালী গ্রামে।

পরিবার ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে খাদ্য গোদামে ডিউটিতে চলে যায় রবিন মিয়া। এদিকে, রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে মনি আক্তার কয়েল জ্বালিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরের দিকে ঘর থেকে মনি আক্তারের চিৎকার শুনে ও ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আহত অবস্থায় দুই শিশুসহ তিন জনকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সেখানে নিয়ে পরদিন রোববার (১০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে জাফরা ও মায়ানের চার পা কেটে ফেলা হয়। পা কেটে ফেলার পর তারা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে গত ২৪ ডিসেম্বর (রোববার) দিবাগত রাতে জাফরা মারা যায়। এর চারদিন পর শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৮ মাসের শিশু মায়ানও মারা যায়। তাদের মা মনি আক্তার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিহত শিশুদের বাবা রবিন মিয়া বলেন, একে একে আমার দুই সন্তান আমাকে ছেড়ো চলে গেল। আপনারা তাদের জন্য দোয়া করবেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে আর কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, কয়েলের আগুনে দগ্ধ দুই শিশু মারা গেছে। ওই দুই শিশুর মা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

বিএনএনিউজ/ হামিমুর রহমান/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ