বিএনএ সিরাজগঞ্জ: বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত সিরাজগঞ্জ। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে এই সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপির আয়োজনে স্থানীয় ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি। জনসভার শুরুতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে নবদীপ পুল, সিরাজগঞ্জ কলেজ রোড, রেলগেট, মেছুয়াবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।
এছাড়াও জনসভা শেষে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই দলের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করছে আওয়ামী লীগ ও বিনএপি।
এদিকে, ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন ইসলাম খান, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় যুব দলের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মিলন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাজিদ হাসান বাবু।
স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান লেবু, মকবুল হোসেন চৌধুরী, গাজী আজিজুর রহমান দুলাল, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।
সমাবেশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, তিনি রাজনীতিতে জীবন দিতে রাজি আছেন। জীবনবাজি রেখে এদেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছেন। কাজেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া না হলে প্রয়োজনে তাকে মুক্ত করতে ৭১’র মতো যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে। রনাঙ্গনের সৈনিক হিসেবে রাজপথে যুদ্ধ করে দলের চেয়ারপাসনকে মুক্ত করার ঘোষণা দেন এই বিএনপি নেতা।
সে সময় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বিএনএনিউজ/আরকেসি