বিএনএ ডেস্ক: সরকার তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সারা দেশ থেকে অগ্নিসন্ত্রাসীদের জড়ো করে ঢাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অনুমতি দিতে পারে না। বিএনপির উদ্দেশ্য গণ্ডগোল লাগানো। এ মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, জনগণের যানমালের নিরাপত্তা বিধান, শান্তি, স্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও তারা যদি চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে, সে ক্ষেত্রে সরকার সরকারের অবস্থান ব্যক্ত করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আগেই বলেছি, দেশের যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ পাহারায় থাকবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। প্রয়োজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বিএনপি বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব সময় বড় সমাবেশ খোলা মাঠে হয়। সারা বাংলাদেশে তারা (বিএনপি) খোলা মাঠে সমাবেশ করেছে। ঢাকায় নয়াপল্টনে যেখানে ৩০ থেকে বড়জোর ৫০ হাজার মানুষ ধরবে, সেখানে ৮-১০ লাখ মানুষের সমাবেশ কোনোভাবেই সম্ভব না। সরকার সৎ উদ্দেশ্যেই তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারা যাতে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারে সে জন্য ৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন ছিল সেটি এগিয়ে ৬ তারিখ করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় অতি মাত্রায় খারাপ সংবাদ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। রাজনৈতিক সংবাদ নিয়ে অতি মাত্রায় ব্যস্ত থাকি। কিন্তু দেশ যে সমৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে সে জিনিসটা মানুষকে জানানো প্রয়োজন। সরকার যে এই পরিকল্পনাগুলো করেছে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং যাওয়ার মহাপরিকল্পনা করেছে সেটিও মানুষের জানা প্রয়োজন।
বিএনএ/এ আর
