21 C
আবহাওয়া
৭:৩০ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ৬০+বয়সীদের টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া হবে-স্বাস্থ্যমন্ত্রী

৬০+বয়সীদের টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া হবে-স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সচেতন না করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

৬০ বছরের বেশি বয়সীদের  টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।মঙ্গলবার(৩০নভেম্বর) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ওমিক্রন ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি গণজমায়েত না করতে অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনার প্রকোপ কমায় যে ঢিলেঢালাভাব চলে এসেছে তা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা জানি করোনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন বয়স্করা। তাই ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেয়া হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, নো মাস্ক নো সার্ভিস নয় এখন সরকার বলতে চায়, নো ভ্যাকসিন নো সার্ভিস। মন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ যে অবস্থায় আছে সেভাবেই থাকবে। আর যেন সময় বা ক্লাসের দিন বাড়ানো না হয়।

 

ওমিক্রন(Omicron) কী ? কতটুকু ভয়ংকর, কেমন লক্ষণ দেখা দেয় শরীরে

বড়দিন থেকে ইংরেজি নববর্ষ, বিশ্বজুড়ে উত্‍সবের মরশুম আসার আগেই ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ! ডেল্টার (Delta) পর এবার আতঙ্কের নাম ‘ওমিক্রন’। করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি যা কি না ৫০ বার বদলেছে জিনের বিন্যাস।  যার মধ্যে ৩২ বারই বদলেছে স্পাইক প্রোটিনের চরিত্র। চিকিত্‍সা পরিভাষায় যার নাম- B.1.1.529।

আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানায়,সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি অণুবিদ্যায় বিদ্যমান থাকলেও রূপভেদে এটি প্রধানত চার প্রকারের ছিল। এঁদের প্রত্যেকের নাম গ্রিক বর্ণমালার অক্ষর দিয়ে। লামডা, আলফা, বিটা এবং গামা। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে যখন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে করোনাভাইরাস, সেই সময় জিনগত পরিবর্তনের (মিউটেশন) মাধ্যমে রূপে ও চরিত্রে বদল আনতে শুরু করল। কোনও রূপ উদ্বেগের (ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন) হয়ে উঠল, কোনওটি আবার কেবল ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’ হয়ে রয়ে গেল। নয়া প্রজাতির মধ্যে বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল ডেল্টা ও ডেল্টার কিছু উপপ্রজাতি (ডেল্টা প্লাস)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে খবর, সবার প্রথমে ‘ওমিক্রন (Omicron)’-এর সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।

তারপর কয়েক দিনের মধ্যেই বৎসোয়ানা হংকং, ইজরায়েল, বেলজিয়াম ও ব্রিটেনে মিলেছে এই ভাইরাসের নতুন প্রজাতির হদিশ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্ট। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক। এর জেরে সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।

সাউথ আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এসএএমএ)-এর সভাপতি ড. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজির মতে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি ‘অস্বাভাবিক কিন্তু মৃদু’। তিনি নতুন করে বেশ কয়েকজনকে পরীক্ষা করেছেন। তাদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। তাদের অধিকাংশই করোনার টিকা নেননি।তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যাদের শরীরে এই ধরনটি শনাক্ত করেছি, তাদের স্বাদ বা গন্ধ চলে যায়নি। তবে তাদের হালকা কাশি হতে পারে। এর বিশেষ কোনও উপসর্গ এখন পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রন এখন পর্যন্ত ৫০ বার রূপ বদল করেছে। স্পাইক প্রোটিনের বদল ঘটেছে ৩০ বারের বেশি। এটি সহজেই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। দেহকোষে ঢুকে পড়ার জন্য যে কোনও ভাইরাস মূলত এ স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে। আর স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করেই বেশিরভাগ টিকা তৈরি করা হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি আগের ছড়িয়ে পড়া ভ্যারিয়েন্টের মতো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আফ্রিকার একাধিক দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন।

এর লক্ষণ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউট (এনআইসিডি) বলছে, বি.১.১.৫২৯ ভ্যারিয়েন্টে এখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যায়নি। ডেল্টাসহ অন্যান্য ধরনের মতোই এখনও ওমিক্রনের প্রায় একই রকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার কোভিড-১৯ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সাবেক প্রধান মহামারি বিশেষজ্ঞ সালিম আব্দুল করিম  ওমিক্রনের দ্রুত সংক্রমণের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখনো এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে জানার অনেক কিছু আছে। আমরা এখনো মাত্র এক সপ্তাহ ধরে ভ্যারিয়েন্টটিকে চিনেছি। তাই এখনো সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব নয়।

ওমিক্রন কি ডেল্টার থেকেও বেশি সংক্রমক? এমন প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল করিম বলেন, এটি হয়ত ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম অর্থাৎ এটি ছড়াবেও দ্রুত। ডেল্টার মতো এটিরও একই ধরণের মিউটেশন হয়েছে। তাই এমনিতেই এটি যে দ্রুত গতিতে ছড়াতে সক্ষম তা ধারণা করা যায়। আবার আমরা বেটা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে দেখেছি শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিচ্ছে ভাইরাস। এর সঙ্গে ওমিক্রনের মিল পাওয়া গেছে। ফলে আমরা এটিও আশঙ্কা করছি, এই ভ্যারিয়েন্ট অনেকাংশেই এন্টিবডিকে ফাঁকি দিতে পারবে।
কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজোড়া উদ্বেগের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না আশার কথা শোনাল। ওই সংস্থার দাবি, জরুরি প্রয়োজনে  আগামী বছরের গোড়াতেই ওমিক্রনের ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারবে তারা।  ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৬টি দেশে ওমিক্রন(Omicron) সংক্রমণের হদিশ মিলেছে।

ইতিমধ্যেই কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বা হুর সাবধানবাণী। ইতিমধ্যে সব দেশকে সতর্ক করে  হু  আশঙ্কা প্রকাশ করেছে,  সংক্রমণ যদি বাড়তে থাকে তবে কিছু এলাকায় পরিস্থিতি মারাত্মক’ হয়ে উঠতে পারে।
যদিও এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপে আক্রান্ত হয়ে কোনও মৃত্যু হয়নি।

Loading


শিরোনাম বিএনএ