বিএনএ ডেস্ক: কয়েকদিন ধরে তাপমাত্র কমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সিলেট ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা অনেকটা কমে গেছে। ভোরের দিকেও হালকা শীতের আমেজ বিরাজ করছে। রাতেও শীতের অনুভূতি বাড়ছে।
রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়ছে। ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। অনেক জায়গায় সূর্যের দেখা মেলে সকাল ১০টার পর। সড়ক-মহাসড়কে বাস-ট্রাকগুলো চলাচল করে হেডলাইট জ্বালিয়ে। শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় জনজীবনে এর প্রভাব পড়ছে।
হিমালয়ের খুব কাছে হওয়ায় ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ নেমে আসে বেশ আগে ভাগেই। গেলো কয়েকদিন ধরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো জেলা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শীতের তীব্রতাও বাড়ে। সূর্য়ের দেখা মিলতে সকাল গড়িয়ে যায়। ফলে দুঃচিন্তায় আছেন দুই জেলার নিন্ম আয়ের মানুষ।
দিনাজপুরেও শীতের তীব্রতা বাড়ছে। হঠাৎ করে শীত বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে,উত্তরের ঠান্ডা বাতাসের কারণে এবার শীত একটু আগেই পড়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শীতের প্রকোপ বাড়লে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি চলে যেতে পারে। বছরের শেষ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বয়ে যেতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এখন আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভোরে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমে আসবে। রাজধানীতেও সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে আসছে বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি