বিএনএ, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভাগ্নে হত্যার দায়ে মামা আব্দুল জলিল সরকার নামে এক ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে তিন লাখ টাকার জরিমানা করা হয়।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ নাজিমুদ্দৌলা এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল জলিল সরকার মহেশপুর উপজেলার ঘুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে দলু সরকারের ছেলে।
ঘটনার পর থেকেই ঘাতক আব্দুল জলিল পলাতক রয়েছে। ২০১৩ সালের ১০ আগষ্ট রাতে আব্দুল জলিল সরকার তার ভাগ্নে সাইদুর রহমান রানাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
মামলায় রায় সূত্রে জানা গেছে, রানার মা শিখা বেগমের সঙ্গে পিতা রইচ উদ্দীনের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে রানা তার নানার বাড়িতে বসবাস করতেন। এ কারণে নানা তার নামে কিছু জমি লিখে দেন। এদিকে ভাগ্নে সাইদুর রহমান রানাকে জমি দেওয়া নিয়ে মামা আব্দুল জলিল সরকার তারা পিতা দেলোয়ার হোসেন দলুকে প্রায় মরধর করতো। ঘটনার দিন রাতেও পিতাকে মারধর করে ভাগ্নে সাইদুর রহমান রানাকে খুঁজতে থাকে মামা জলিল। এ সময় ভাগ্নে রানা বাজার থেকে নানা বাড়ি ফিরছিলেন। মামা জলিল সরকার কিছু বুঝে ওঠার আগেই রানাকে উপর্যপরী কুপিয়ে আহত করে। প্রতিবেশিরা মুমুর্ষ অবস্থায় রানাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকা জনক হয়ে পড়লে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রানার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা শিবানন্দপুর গ্রামের রইচ উদ্দীন বাদী হয়ে শ্যালক আব্দুল জলিল সরকারকে আসামি করে মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মহেশপুর থানার এসআই রইচ উদ্দীন মামলা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই আদালতে চার্জসীট দেন। বিজ্ঞ আদালত ১৬জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
সরকার পক্ষে পিপি এ্যাড. ইসমাইল হোসেন বাদশা ও আসামি পক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী টিপু সুলতান মামলাটি পরিচালনা করেন। ঘটনার পর থেকেই মামা আব্দুল জলিল সরকার পলাতক রয়েছে। ফলে তার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ সম্পন্ন করা হয়।
বিএনএ/ আতিক, এমএফ