স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও একাদশে আট ব্যাটসম্যান। তার ফায়দা তুলতে পারল না বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা ও ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ আরেকটু দীর্ঘায়ত হলো। যদিও কিছুটা ব্যতিক্রম নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তার ধীরগতির ইনিংসটি নিয়েও আলোচনা ঢের।
ব্রিসবেনের গ্যাবায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৫০ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ শান্তর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ৭১ রান করেন এই বাঁহাতি। ৫৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৭টি ছয় ও ১টি চারে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ব্যর্থ ওপেনিং জুটি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শূন্য রানে বিদায় সৌম্য সরকারের। ধীরগতির শুরুতে আরেক ওপেনার শান্ত দলের চাপ বাড়াচ্ছিলেন, সে চাপ সরিয়ে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে পাওয়ার প্লেতে লিটন দাসও প্যাভিলিয়নে। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৩২।
ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত-সাকিব এনে দেন ৫৪ রান। অধিনায়ক সাকিব হাত খুলে খেলতে গিয়ে আউট হন ২০ বলে ২৩ রানে।
এরপর এই ফরম্যাটে প্রথম ফিফটি পান শান্ত। ৪৫ বলে মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বাঁহাতি। অর্ধশতক হাঁকানোর পর ১ ছক্কা, ২ চারে বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান খানিক বাড়িয়ে নেন। ১২৯ স্ট্রাইক রেটে ফেরেন ৭১ রানে।
শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন ১০ বলে ৭ রান।করলে দলীয় সংগ্রহ দেড় শ ছোঁয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। শেষপর্যন্ত আফিফ হোসেনের ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংসের কল্যাণে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে কোনরকম ১৫০ রানের পুঁজি বাংলাদেশের। শেষ ৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে মাত্র ২৮ রান।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ