25 C
আবহাওয়া
৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ - মে ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কুবিতে ল্যান পোর্টে নেই ইন্টারনেট একসেস ; অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা

কুবিতে ল্যান পোর্টে নেই ইন্টারনেট একসেস ; অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা


বিএনএ, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইসিটি সেলের তত্ত্বাবধানে সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক প্রকল্প ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক (ক্যান) গত ১৯ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

দুই কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যায়ের এই প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৬৫টি ল্যান পোর্ট ও ৯২টি রাউটার (এপি) সংযোগ দেওয়া হয়। উদ্বোধনের পর কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের রুম গুলোতে দেওয়া ল্যান পোর্টে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া গেলেও গত চার দিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না এই সেবা।

এতে ইন্টারনেট ব্যবহারের আশায় নতুন রাউটার ক্রয় করা শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কোনো হলেরই ল্যান পোর্টে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট সেবা নিতে পারছেন না।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারের আশায় নতুন রাউটার কিনে আনার পরেই দেখি আজকে চার দিন ধরে ল্যান পোর্টে ইন্টারনেট নাই।’

তবে সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বস্ত দিয়ে আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সিকে জানান, ‘আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে ল্যান পোর্টগুলো চালু করেছিলাম, তখন কোনো ইন্টারনেট প্রোটোকল (আইপি) ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা পর্যায়ক্রমে ল্যান পোর্টে লাগানো সব ওয়াইফাই রাউটারকে কনফিগার করে দিবো আলাদা আইপি এড্রেস ব্যবহার করে। তখন ল্যান পোর্টে সবাই ইন্টারনেট একসেস করতে পারবেন, আমাদের লোকবল সংকটের কারণে রাউটার কনফিগার করে দিতে সময় লাগতেছে, আশাকরি ১৫-২০ দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ তিনি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান।

এছাড়া নতুন ‘কো’ নামের যে উচ্চগতির ‘এপি’ লাগানো হয়েছে ভুল জায়গায় স্থাপনের জন্য সেটির সেবাও সবাই যথাযথভাবে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাঁচ তলা বিশিষ্ট শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রধান ফটকে একটি এবং এর আনুমানিক ১৫ ফিট দূরত্বে রিডিং রুমে একটি এবং ২০ ফিট দূরত্বে ডায়নিং রুমে অর্থাৎ নিচ তলায় বসানো হয়েছে তিনটি ‘এপি’। এতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম তলার শিক্ষার্থীরা। অবশিষ্ট একটি ‘এপি’ বসানো হয়েছে টিভি রুমে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের অভিমত টিভি রুমে ল্যান পোর্টের মাধ্যমে টিভিতে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া যেত, আলাদা করে এপি বসানোর দরকার ছিল না।’

এছাড়াও আগের ‘স্টুডেন্ট’ ও ‘টিচার’ নামের যে রাউটারগুলো ছিল সেগুলো ১৪ ফিট দূরত্ব থেকে ‘ওকলা টেস্টে’ ডাউনলোড গতি দেখা গেছে তিন এমবিপিএস। রাউটার গুলো পুরাতন এবং নিন্মগতির ইন্টারনেটের জন্য সুফল পাচ্ছে না বেশীরভাগ শিক্ষার্থী।

নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাশপিয়া কাশেম বলেন, ‘ ইন্টারনেট একসেস করতে গেলে রিডিং রুম অথবা ডায়নিং এ যেতে হয়, অন্য কোথাও নতুন সংযোগ দেওয়া ‘CoU’ (কো) নেটওয়ার্কটি পাওয়া যায় না।
সবগুলো রাউটার নিচ তলায় স্থাপন করা হয়েছে বিধায় উপরের তলার শিক্ষার্থীরা কোনো সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া ‘স্টুডেন্ট’ ও ‘টিচার ‘ নামের সংযোগগুলোর গতি খুব ধীর।’

ইন্টারনেট সেবা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাদেকুর রহমান বলেন, প্রতিদিন লেখাপড়ার কাজে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় , আমরা নতুন লাগানো রাউটারের কোনো সেবা পাচ্ছি না, বঙ্গবন্ধু হলের নিচতলা থেকেও রাউটারের রেঞ্জ আমাদের রুম পর্যন্ত আসে না, তাছাড়া আমাদের হলের নতুন ব্লকে পূর্বের স্টুডেন্ট ও টিচার সংযোগটিও নেই। ইন্টারনেট সেবা না পেয়ে আমরা চরম বিপাকে পড়েছি।

তবে এ দাবি মানতে নারাজ আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, একসাথে অনেকজন ইন্টারনেট সেবা নিতে চাওয়ায় ‘স্টুডেন্ট’ ও ‘টিচার’ নেটওয়ার্কের গতি কমে যায়।

সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু প্রত্যেক রুমেই ল্যান পোর্ট দেওয়া হয়েছে, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আলাদা আলাদা আইপি এড্রেস সরবরাহ করে রুমে লাগানো রাউটারগুলোতে ইন্টারনেট একসেস দিয়ে দিবো। এতে ইন্টারনেটের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

বিএনএ/আদনান, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ