20.7 C
আবহাওয়া
৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৪৫ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৪৫ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩ আসনের হালচাল।

ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩ আসন

ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩ সংসদীয় আসনটি বিজয়নগর ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৪৫ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির হারুন আল রশিদ বিজয়ী হন 

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ৯ শত ১৫ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪ শত ৬ জন। নির্বাচনে বিএনপির হারুন আল রশিদ বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬২ হাজার ৮ শত ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির হুমায়ুন কবির। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৫৬ হাজার ১ শত ৭৮ ভোট ।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির হারুন আল রশিদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির হারুন আল রশিদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির হারুন আল রশিদ বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ৭ শত ১৯ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ২১ হাজার ৬ শত ৩৭ জন। নির্বাচনে বিএনপির হারুন আল রশিদ বিজয়ী হন । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৭৭ হাজার ২ শত ৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের লুৎফুল হাই সাচ্চু। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭২ হাজার ৫ শত ২৫ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির হারুন আল রশিদ বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫ শত ১৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৮০ হাজার ৪ শত ৯১ জন। নির্বাচনে বিএনপির হারুন আল রশিদ বিজয়ী হন । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের হুমায়ুন কবির। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৩ হাজার ১ শত ৫৮ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের লুৎফুল হাই সাচ্চু বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৬ শত ৯৯ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৮ শত ১৬ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লুৎফুল হাই সাচ্চু বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫ শত ৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির হারুন আল রশিদ । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮৬ হাজার ৪ শত ৯৮ ভোট।

লুৎফুল হাই সাচ্চু নভেম্বর ২০১০ সালে মারা যান। জানুয়ারি ২০১১ সালের উপনির্বাচনে বিএনপির খালেদ মাহবুবকে হারিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নির্বাচিত হন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন:আওয়ামী লীগের উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিজয়ী হন 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৯ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৭ শত ২৬ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টি-জেপির মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ। বাইসাইকেল প্রতীকে তিনি পান ৬ হাজার ৭ শত ৮৬ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৫ লাখ ১২ হাজার ৭৩ জন। ভোট প্রদান করেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৭ শত ৫৪ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৯ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মোঃ খালেদ হোসেন মাহবুব, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয পার্টির আবদুল্লাহ আল হেলাল, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছৈয়দ আনোয়ার আহমদ লিটন, বটগাছ প্রতীকে খেলাফত আন্দোলনের মুজিবুর রহমান হামিদী, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির সেলিম কবির, কাস্তে প্রতীকে সিপিবির শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজ, খেজুর গাছ প্রতীকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের জুনায়েদ আল হাবিব, এবং টেলিভিশন প্রতীকে ন্যশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এর সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাছ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫ শত ২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মোঃ খালেদ হোসেন মাহবুব। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪৬ হাজার ৭৭ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সংসদে বিএনপি এবং নবম, দশম ও একাদশ সংসদ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৪.৮০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩০.৩০%, বিএনপি ৩৫.৬২%, জাতীয় পার্টি ৩১.৮৫%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.২৩% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৭.০৩% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩২.৭২%, বিএনপি ৩৪.৮৩% জাতীয় পাটি ২৯.০৩%, জামায়াত ইসলামী ২.১৮% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.২৪% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭২.২০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৩.৯১%, ৪ দলীয় জোট ৫৩.৫০%, জাতীয় পাটি ২.২৬%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৩৩% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৬.২০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৬৩.৬৯%, ৪ দলীয় জোট ৩৪.৪৫% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৮৬% ভোট পায়।

ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বর্তমানে সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলি।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও বিএনপি নেতা ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল।

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূইয়া।

-ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীও এই আসন থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে যুক্ত হতে পারেন।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা কল্যাণ পার্টির সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সৈয়দ আনোয়ার আহমদ দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ, সুসংহত ও শক্তিশালী। শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনই নয়, জেলার ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগ জিতবে ।টানা তিনবার বিজয়ী হয়ে তিনি এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করেছেন বলে দাবি। দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছেও তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ‘ বিএনপি এখন বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে। শেষ পর্যন্ত দল যদি নির্বাচনে যায়, তাহলে আমি মনোনয়ন চাইব এবং জিতবো’।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) এ আসনটি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ র্নিবাচন পরবর্তী বেশিরভাগ সময়ই ছিল বিএনপির দখলে। এক সময় এ আসনের সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল হারুন আল রশিদ। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী টানা চারবার এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বার্ধক্যের কারণে তিনি আর সক্রিয় নেই। বিএনপি ভোটের মাঠে সক্রিয় না হলেও প্রচুর নিরব ভোট রয়েছে।
একসময় আসনটি জাতীয় পার্টিও শাসন করে। সাবেক উপমন্ত্রী জাপা নেতা অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু সেই দিন আর নেই। এখন দলে ভাটার টান। উজান ঠেলে এগিয়ে যেতে পারছে না জাতীয় পার্টি ।

ভোটের মাঠ এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দখলে। নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছে দলটি। নেতারা উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। দলীয় কোন্দলের কারণে এই আসনে নির্ভার হতে পারছেন না আওয়ামী লীগ। তবুও ঐক্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ আসনটির দখল ধরে রাখতে চায়। বিএনপি চায় আসনটি পুনরুদ্ধার।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৪৫ তম সংসদীয় আসন (ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩) আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনএ/ শাম্মী, ওজি,ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ