বিএনএ গোপালগঞ্জ: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূঁজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলায় মন্দিরগুলোতে পুরোদমে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আযোজকরা। ইতোমধ্যে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় দেবী দুর্গা তার সঙ্গে বিদ্যার দেবী স্বরসতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষী এবং তার সঙ্গে দেবতা কার্তিক ও গনেশসহ নানা দেব-দেবীর প্রতিমার রূপকে ফুটিয়ে তুলছেন তারা।
এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজার আয়োজন করছেন না আয়য়োজকরা। তবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের প্রতিমা ও পূঁজা দেখার ব্যবস্থা করছেন তারা। মন্দির ও সড়কগুলোতে করা হবে আলোকসজ্জা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা: অসিত কুমার মল্লিক জানান, তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ বছর শুধু মাত্র মন্দিরের মধ্যে আলোকসজ্জ্বা করা হবে। বাইরের সড়কগুলোতে আলোকসজ্জ্বা, গান বাজনাসহ কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে না। প্রতিটি মন্দিরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে প্রতিটি মন্দিরে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক রাখতে বলা হয়েছে। সরকারি আইন মানার বিষয়টি দেখভাল করবে তারা। এছাড়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করা হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির জেলা গোপালগঞ্জে এ বছর নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডা: অসিত কুমার মল্লিক।
বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন পরিষদ, গোপালগঞ্জ শাখা সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩২১টি, কোটালীপাড়ায় ২৯০টি, মুকসুদপুরে ২৮৭টি, কাশিয়ানীতে ২৩৪টি এবং টুঙ্গিপাড়ায় ৯৬টি মন্দিরে পূঁজা অনুষ্ঠিত হবে।
১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠিতে দেবী বোধঁনের মধ্য দিয়ে দূর্গা পূঁজার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে। চলবে আগামি ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর মহাষষ্ঠিতে ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে পৃথিবীতে আসবেন দেবী দুর্গা। পূঁজার সকল আনুষ্ঠিকতা শেষে দোলায় চড়ে কৈলাশে ফিরবেন তিনি। ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি আর আরতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে গোপালগঞ্জের পাড়া-মহল্লা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি