বিএনএ, ঢাকা: চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটের পরিস্থিতি ঢাকা থেকে সরাসরি সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় এ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ১৫৬টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ চলছে।
এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুম থেকে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান এবং রাশেদা সুলতানাসহ অন্যান্যরা।
ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি এবং কেন্দ্র প্রতি দুটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫৬৩টি সিসি ক্যামেরা রাখা হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়।
এ বিষয়ে ইসির সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক জানান, ভোট শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, গাজীপুর, রংপুর, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন এবং গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেছে ইসি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)। এতে মোট চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পুলিশ এবং এপিবিএনের সমন্বয়ে ৮ ওয়ার্ডে আটটি মোবাইল ফোর্স কাজ করছে। এছাড়াও ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ৪টি টিম (প্রতি ২ ওয়ার্ডে ১টি করে), বিজিবি ৪ প্লাটুন (প্রতি ২ ওয়ার্ডে ১টি করে) নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে।
নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন কমিশন থেকে নিবিড় মনিটরিং করা হবে। রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকেও মনিটরিং করা হবে।
গত ২ জুন চট্টগ্রাম-১০ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
বিএনএনিউজ/বিএম/ হাসনাহেনা