27 C
আবহাওয়া
৩:২৫ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের বৃত্তে টাইগাররা

টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের বৃত্তে টাইগাররা

টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের বৃত্তে টাইগাররা

বিএনএ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ে সফরে অধিনায়কত্ব পরিবর্তন করেও মিললো না সুফল। তুলনামূলক দুর্বল জিম্বাবুয়েকে পেয়েও ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে পরাজয় বাংলাদেশের।

টাইগারদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দলীয় স্কোর দুইশো ছাড়াল জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের পুঁজি গড়ে স্বাগতিকরা। ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে সমান তালে পাল্লা দিয়ে ছুটলেও বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ১৮৮ রানে। প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে পরাজয় সফরকারীদের।

ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৮ বলে ৪ রান করে ফিরে যান তিনি। সেই ধাক্কা কাটিয়ে লিটন আর বিজয়ের ব্যাটে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৬০ রান তোলে টাইগাররা। তবে এই দুইজন তালগোল পাকিয়ে বসেন ইনিংসের সপ্তম ওভারে।

উইলিয়ামসের বলে শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ দেন লিটন। কিন্তু উদযাপন করতে গিয়ে ফেলে দেন এনগারাভা। লিটন না বুঝে হাঁটা দেন ড্রেসিংরুমের দিকে। এদিকে নন স্ট্রাইক প্রান্তে উইলিয়ামসকে বল পাঠিয়ে দেন এনগারাভা। সঙ্গে সঙ্গে উইকেট ভেঙে দেন উইলিয়ামস। নানা নাটকীয়তার পর আউট দেন টিভি আম্পায়ার। নিজের ভুলে ৬ চারে ১৯ বলে ৩২ রান করে ফেরেন লিটন।

এনামুল হক বিজয় ২৭ বলে করেন ২৬ রান। পাঁচে নামা আফিফ হোসেন দ্রুত রান তুলতে গিতে ৮ বলে ১০ রান করে ফিরে যান। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত, সোহানে সঙ্গে ২১ বলে ৪০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে খেলায় রাখেন তিনি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে থামে শান্তর ব্যাট। ৩ চার, ১ ছয়ে ২৫ বলে করেন ৩৭ রান।

১৬ ওভারে ১৪৬ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তখন জয়ের জন্য ২৪ বলে প্রয়োজন ৬০ রান। তখন ব্যাটে ঝড় তুলে খানিক আশার সঞ্চার করেন সোহান। তবে মোসাদ্দেক হোসেন ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হলে ফিকে হয়ে যায় নতুন অধিনায়কের ২৬ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংস। ১টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানোর সোহানের এই ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৮৮ রানে। ১৭ রানের জয়ে সিরিজের এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

এর আগে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ওপেনার রেগিস চাকাভাকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। ১১ বলে ৮ রান করেন চাকাভা।

পাওয়ার-প্লেতে ৪৩ রান তোলা স্বাগতিকরা সপ্তম ওভারের প্রথম বলে হারায় আরেক ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে। মোসাদ্দেকের কুইকার ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন আরভিন। কিন্তু বল ব্যাট মিস করে ভেঙে দেয় উইকেট। ১৮ বলে ২১ রান করেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে ওয়েসলে মাধেভেরে ও শন উইলিয়ামস ৩৭ বলে গড়েন ৫৬ রানের পার্টনারশিপ।

ব্যাট হাতে ঝড় তোলা উইলিয়ামসকে থামান মুস্তাফিজ। ৪ চার ও ১ ছয়ে ১৯ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। ৯৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে ঝড় অব্যাহত রাখেন মধেভেরে। ৬ চারে ৩৭ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। কম যাননি রাজাও, আগ্রাসী ভূমিকায় চার-ছয়ের ফুলঝুরি সাজিয়ে বসেন। ৫ চার ও ৩ ছয়ে মাত্র ২৩ বলে ফিফটির কোটা পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

শেষ ওভারে ৪৬ বলে ৬৭ রানের সময় চোট নিয়ে উঠে যান মাধেভেরে। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন রাজা। ৭টি চার ও ৪টি ছয় মারেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে ৫০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন পেসার মুস্তাফিজ। আর ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য তাসকিন আহমেদ।

বিএনএ/ এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ