বিএনএ, জামালপুর : জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা। সরকারের কৃষি বিষয়ক যে সব প্রকল্প হাতে নিয়ে থাকে তা বাস্তবায়িত হয় জামালপুর জেলাকে ঘিরে। এ জেলার ৭টি উপজেলায় আঙ্গুর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। আঙ্গুর বাগান তৈরির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ ব্যাপক উদ্যোগ নেয়ায় অধিকাংশ বেকার যুবক ও যুব মহিলারা ঝুঁকে পড়েছেন। আঙ্গুর বাগানের মাধ্যমে অধিকাংশ বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে আসবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার সর্বত্র ফলমুল শাক সবজি চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে আঙ্গুর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীপুর, বাঁশচড়া, সাহাবাজপুর, রশিদপুর এলাকায় অধিকাংশ কৃষক বলেন, কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করলে আঙ্গুর চাষের উদ্যোগ নেয়া হবে। ইতোমধ্যে অনেকেই স্ব উদ্যোগে আঙ্গুর গাছের চারা রোপন করেছে।
কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক জানান, এ অঞ্চলের মাটি আবহাওয়া আঙ্গুর চাষ উপযোগী। আঙ্গুর বাগান তৈরির লক্ষ্যে কৃষক পর্যায়ে উচ্চ ফলনশীল আঙ্গুর গাছের চারা বিতরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে আগামীতে সর্বত্র আঙ্গুর বাগান তৈরি হবে।
কৃষক সালাম ও কাদের এর সাথে কথা বললে তারা জানান, কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করলে অনেকেই আঙ্গুর বাগান তৈরি করবে। উচ্চ ফলনশীল গাছের চারা বিতরণসহ নানাবিধ পরামর্শ দিলে আঙ্গুর বাগান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
জিল্লুর রহমান বলেন, রোগ-বালাই তেমন না থাকলেও আঙ্গুর পুষ্ট ও মিষ্টির কারণে পাখির হাত থেকে রক্ষায় পলিথিনে আঙ্গুরের থোকাগুলো ঢেকে দিতে হয়। প্রথম লাগানোর ১ বছর ৮ মাস পর বাগানে আঙ্গুর ফলের থোকাগুলো ঝলমল করে। এক একটি থোকাতে ১৫ থেকে ৪৫টি আঙ্গুর রয়েছে। যার ওজন ১শ থেকে ৩৫০ গ্রাম। ২৬০ টাকা কেজি দরে গত বছর আঙ্গুর বিক্রি করেছেন পরীক্ষামূলকভাবে। তবে বৃষ্টির অভাবে আঙ্গুর ধরতে এবার কিছুটা বিলম্ব হয়েছে এবং আঙ্গুরের পরিপক্কতা আসতেও কয়েক মাস লেগে যাবে । আঙ্গুর গাছ থেকে বছরে ২ বার ফল পাওয়া যায়। প্রথম পর্যায়ে দেড় টন আঙ্গুর পেয়েছি। এ গাছ থেকে আরো ১০ হাজার চারা তৈরি করে চারা বিক্রি করেও তিনি মোটামুটি ভাল টাকা আয় করেছেন।
জেলা কৃষকলীগের সভাপতি সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ বলেন, কৃষক বান্ধব সরকার সব সময় কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য কৃষি ভিত্তিক ব্যাপক প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সরকারের এ সব প্রকল্পের কারণে অধিকাংশ কৃষক সচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতি গতিশীল হয়ে পড়েছে।
বিএনএনিউজ/কাজী রফিকুল হাসান/ রেহানা/হাসনা