22 C
আবহাওয়া
৩:৪৭ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন: ১১দিনে রাজস্ব আয় সাড়ে ২৯ লাখ টাকা

কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন: ১১দিনে রাজস্ব আয় সাড়ে ২৯ লাখ টাকা


বিএনএ,চট্টগ্রাম:চট্টগ্রাম থেকে যাতায়াতের জন্য দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের আর্শীবাদ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন। এ ছাড়া রাজস্ব আদায়ে রেলওয়েকে লাভের আশা দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষ ।

রেলের অপারেশন শাখা জানায়, শুধু ১১ দিনে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন চালিয়ে ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮০ টাকা রাজস্ব আয় করেছে রেলওয়ে। গত ১২জুন থেকে ২২জুন পর্যন্ত ট্রেনটিতে ১৬হাজার যাত্রী ভ্রমণ করেছে।

জানা যায়, গত বছরের ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপর চলতি বছর ১০ জানুয়ারি পর্যটক এক্সপ্রেস নামের আরেকটি ট্রেন চালু করে রেল। শুধু ঢাকা–কক্সবাজার রুটের দুটি ট্রেনের প্রতিটিতে ১১৫টি করে আসন বরাদ্দ রাখা হয় চট্টগ্রাম স্টেশনের জন্য।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল সাতটায় ছেড়ে যায়। কক্সবাজারে পৌঁছায় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়ে সন্ধ্যা সাতটায়। চট্টগ্রামে পৌঁছায় ১০টায়। যাত্রাপথে ট্রেনটি ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামে। বিশেষ ট্রেনে শোভন শ্রেণির আসনের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ৪৫ টাকা, প্রথম শ্রেণি আসনের জন্য ১৮৫ টাকা। তবে কক্সবাজার পর্যন্ত এই ভাড়া যথাক্রমে ১৮৫ ও ৩৪০ টাকা।

পরিসংখ্যানে দেখা যায় , চট্টগ্রাম থেকে ৫৯১৯ যাত্রী, ষোলশহর থেকে ৪০২ জান আলী হাট থেকে ৭০৫ জন , পটিয়া ৫৫৫ জন , দোহাজারী থেকে ৪২৮ , সাতকানিয়া থেকে ৭৪৩ জন , ডুলাহাজরা ৪৭০ জন , চকরিয়া থেকে ৬৪৮ জন , রামু থেকে ৭৫ জন , কক্সবাজার ৬০৫২ জন ভ্রমণ করেন।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ১১ দিনে ১৬ হাজার যাত্রী পরিবহন করেছে ট্রেনটি। গত ১২ জুন থেকে চালু হওয়া চট্টগ্রাম- কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি গত ২২ জুন পর্যন্ত ১১ দিনে মোট ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮০ টাকা রাজস্ব আয় করে।

এ দিকে আন্দোলনের মুখে গত ১২ জুন থেকে দ্বিতীয় দফায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বিশেষ ট্রেন সার্ভিস শুরু হয়। গত (২৪ জুন) শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও জনপ্রিয় সার্ভিসটি যাত্রী চাহিদা ও আন্দোলনের মুখে এক মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ের পর আগামী ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন হিসেবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রী পরিবহন করবে কক্সবাজার স্পেশাল। একই সময়ে ট্রেনটির কোচের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬/৩২ করা হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এর আগে রোজার ঈদেও আগে ৮ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করে। সাময়িক এই ট্রেনটি যাত্রী চাহিদা বেশি হওয়ায় চালু রাখা হয়। পরবর্তীতে ৫২ দিন যাত্রী পরিবহনের পর এটি ক্রু ও ইঞ্জিন সংকটের অযুহাত দেখিয়ে ৩০ মে থেকে সার্ভিসটি বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে। সর্বশেষ কোরবানির ঈদের আগে ১২ জুন থেকে ঈদ স্পেশাল হিসেবে ট্রেনটি ফের চালু করা হয় এবং ২৪ জুন পর্যন্ত এটি চলাচল করে।   কিন্তু যাত্রী চাহিদা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে ট্রেনটির সার্ভিস আরও এক মাস অর্থাৎ আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করেছে রেলওয়ে।

এ বিষয়ে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, শুরু থেকেই কক্সবাজার এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে যাত্রীদের। চাহিদার তুলনায় আসন কম হওয়ায় অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। এ সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জনবল ও ইঞ্জিনসংকট থাকা সত্ত্বেও চলাচলের সময় বাড়ানো হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।

বিএনএনিউজ/নাবিদ,ওজি/হাসনা


শিরোনাম বিএনএ