বিশ্ব ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফায় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক রাফা নগরীর প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছার একদিন পর বুধবার (২৯ মে) থেকে এ লড়াই শুরু হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, মিশর-গাজা সীমান্তের পুরো অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। যা ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত। সেখানে অস্ত্র পাচারের জন্য ব্যবহারকৃত হামাসের ২০টি টানেল পাওয়া গেছে বলেও দাবি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর। তবে মিশর বলছে, টানেল পাওয়ার কথা বলে রাফায় আগ্রাসনের বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে তেল আবিব।
ফিলাডেলফি করিডোর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও মিশরের মধ্যকার নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৯ সালে সম্পাদিত মিশর-ইসরায়েল ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তিতে নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসেবে এটিকে সংরক্ষণ করার অনুমোদন করা হয়েছে।
এদিকে গাজায় আরও ৭ মাস হামলা চলবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ অন্তত চলতি ২০২৪ সালজুড়ে চলবে।’
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ‘কান’কে হানেগবি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা ও মিশরের মধ্যে থাকা বাফার জোন ফিলাডেলফি করিডোরের ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।’
ইসরায়েলি বাহিনী এখন মিশর সীমান্তবর্তী গাজার রাফাহ শহরে বড় সৈন্য সমাবেশ করেছে। চলছে অভিযান। ঘটছে হতাহতের ঘটনা। অভিযান শুরুর প্রায় তিন সপ্তাহ পর গাজার দক্ষিণের শহর রাফার কেন্দ্রস্থলের দখল নিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত রোববার ‘নিরাপদ জোন’ ঘোষিত তেল আল-সুলতান আশ্রয়শিবিরে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় ৪৫ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, আশ্রয়শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮১ হাজারের বেশি। এ ছাড়া নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/হাসনা