বিএনএ, রাবি: জালিয়াতির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা তিন জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল ৯টায় ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটে ও বেলা ১১টায় দ্বিতীয় শিফটের প্রক্সি দিতে এলে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
আটককৃত তিনজন হলেন, মো. হোসাইন, মো. স্বপন হোসাইন ও আব্দুর রাকিব। মো. হোসাইন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার কাওছার হোসেনের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে ৪২৪ নং কক্ষের মো. জাহিদ আল হাসান সিয়ামের (রোল- ২১৬০২) হয়ে প্রক্সি দেন।
অন্যদিকে মো. স্বপন নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার চকগপিনাথ গ্রামের মোজাম্মেল হোসাইনের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনের ১৩৫ নম্বর কক্ষের তানভীর আহমেদ নামের (রোল- ২৪০৯৬) এক শিক্ষার্থীর পরিবর্তে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
মো. আব্দুর রাকিব (রোল- ৪০৯৪৩) জয়পুরহাট জেলার কালায় থানার উওর পাকুরিয়া গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার ছেলে। সে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে ৩৩৭ নং কক্ষে নিজের ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষা দিতে এসে আটক হন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড আসাবুল হক বলেন, “আজকে প্রক্সি কাণ্ডে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়। তাদের জিজ্ঞেসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডেবলেন, “প্রক্সি কাণ্ডে দুজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এদের দুজন ছাড়াও আরও ১জন আছে যাকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে।”
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ-এর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, “রাবির ভর্তি যেন সুষ্ঠু ভাবে হয় তার জন্য আমরা কাজ করছি। আজকে যে প্রক্সিকাণ্ডে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তাদের পেছনে বড় একটি গ্রুপ কাজ করছে। এদেরকে জিজ্ঞাসা বাদ করে বাকি সদস্যদের আটকের চেষ্টা করবো আমরা। আমাদের আগের মামলায় যাদের নাম রয়েছে তাদের কিছুটা নামের মিল পাচ্ছি আমরা। আমাদের জায়গায় থেকে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত করবো। একজন নিরাপরাধী যেন সাজা না পায় অপরাধী যেন পার না পায় সেদিকে আমরা অবশ্যই নজর রাখবো। তারা যে গ্রুপেরই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
বিএনএ/সাকিব, এমএফ