28 C
আবহাওয়া
৫:৩০ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকা লজ্জার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকা লজ্জার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাকিস্তান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বাড়াতে চায় সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনএ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই না হওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এটা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ এবং ‘লজ্জাজনক’ যে চুক্তিটি ১১ বছর ধরে ঝুলে আছে।

সোমবার (৩০ মে) আসামের গুয়াহাটিতে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন তিনি। বলেন, দুই দেশই প্রস্তুত ছিল, তবুও চুক্তিটি হয়নি। বলেন, ভবিষ্যতে পানির জন্য একটি বড় হাহাকার তৈরি হবে।

২৮-২৯ মে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত নদী সম্মেলনের ফাঁকে এনডিটিভিতে দেয়া সাক্ষাতকারে ড. মোমেন আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিন্ন ৫৪টি নদী রয়েছে। দুই পক্ষই অভিন্ন নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনায় ভারতের অংশীদার হতে এবং একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। ‘অববাহিকা এলাকার মানুষের কল্যাণের জন্য দুই পক্ষের মানুষেরই যৌথ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।’

এনডিটিভি জানায়, ১৯৪৭ সাল থেকে তিস্তার ক্যাচমেন্ট এলাকাগুলো ভারতকে বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে এটি নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়। ২০১১ সালে ভারত তিস্তার পানির ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার করতে সম্মত হয়েছিল এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে শুষ্ক মৌসুমে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ পানি ধরে রেখেছিল। তবে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কঠোর বিরোধিতার কারণে চুক্তিটি হয়নি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ খুব আশাবাদী যে ভারত চুক্তির ব্যাপারে এগিয়ে আসবে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গও সম্মত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছর আসাম ও বাংলাদেশে একই সময়ে বন্যা হয়। এ থেক মুক্তি পেতে আমাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে, যৌথভাবে বন্যার আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

তিস্তা নদীর ওপর ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে আলোচনা করছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তা নিয়ে চীনের কাছ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তাব আসেনি। চীন প্রাথমিকভাবে যেটি প্রস্তাব করছিল সেটি ছিল একটি ফরাসি প্রকল্প। ১৯৮৯ সালে ফরাসি প্রকৌশলীরা এটি ডিজাইন করেছিলেন। এটি ব্যয়বহুল ছিল, তাই তখন আমরা তহবিল সংগ্রহ করতে পারিনি।

ড. মোমেন জানান, এখন চীনারা এর একটি অংশ হিসেবে তিস্তা প্রকল্পকে বাছাই করেছে। তবে তারা এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠায়নি। আমাদের এখন এটি কেমন হবে তা দেখতেই হবে। কারণ ভারত এখনও তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানে আসলে তেমন কিছু করছে না। তাই তারা (চীন) একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, এটি (আমাদের জন্য) একটি লাভজনক প্রস্তাবও।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তবে, তিস্তা একটি অমীমাংসিত ইস্যু। তাই আমাদের জনগণ স্বাভাবিকভাবেই সরকারকে নতুন কোনো প্রস্তাব (সমাধান) ভেবে দেখার জন্য চাপ দেবে। এই কারণেই হতে পারে তিস্তার ওপর চীনা প্রকল্প নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে এত আলোচনা হচ্ছে।

বিএনএ/ এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ