বিএনএ, নওগাঁ: নওগাঁর মান্দায় ছাত্রীকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে অবশেষে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মান্দা থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। মামলায় প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিন বলেন, গত ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ এলাকার লোকজন ফুঁসে ওঠে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের অপসারণসহ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। একই দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন।
কুসুম্বা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের এসব কুকীর্তির ঘটনায় এলাকাবাসী মান্দা ইউএনও বরাবর অভিযোগ করে। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়।’ তদন্তে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন।
এ সংবাদ প্রকাশ হয়ে পড়লে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পরিবারসহ এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। অবশেষে আজ নির্যাতিতা শিক্ষার্থী বাবা বাদী হয়ে মান্দা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।
এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। এ ঘটনার পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী রীনা আক্তার পুতুল দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।
বিএনএনিউজ/ বিএম