24 C
আবহাওয়া
১১:৪৭ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শুধু ভিসাতেই মাসে ভারতের আয় ২ হাজার ২শ ৪০ কোটি- গয়েশ্বর

শুধু ভিসাতেই মাসে ভারতের আয় ২ হাজার ২শ ৪০ কোটি- গয়েশ্বর

শুধু ভিসাতেই মাসে ভারতের আয় ২ হাজার ২শ ৪০ কোটি- গয়েশ্বর

বিএনএ, ঢাকা: ‘ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের’।

এমন মন্তব্য  করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ২৯ মার্চ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই সভার আয়োজন করে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামের একটি সংগঠন।

YouTube player

শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জনই নয়, জনগণকে ভারতে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা অনেকে জানেন না, যারা ভারতে যান চিকিৎসার জন্য, ভ্রমণের জন্য, তারা হয়ত জানতে পারেন। প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার ভিসার আবেদন জমা পড়ে। ৮০০ টাকা করে হলে ৮০ কোটি টাকা, মাসে ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা, বছরে তাহলে বোঝেন কত কোটি টাকা ওরা পাচ্ছে।

তিনি বলেন, ভিসা মানে কি? একজন মানুষ যখন বর্ডার ক্রস করবে, পার ডে পাঁচ হাজার টাকা খরচ, চিকিৎসার খরচ আছে, ওষুধের খরচ আছে, আওনের সময়ে মার্কেটিং আছে… নাকি? ওষুধ না কিনা আমাগো তো অভ্যাস খারাপ জিনিস কিনমু…।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত পাশে থাকায় জাতীয় নির্বাচনে অন্য কোনো দেশ অশুভ খেলার সাহস করেনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রতিদিন নাটক করবেন, নানা ধরনের উচ্চ-বাচ্য করবেন। ভারত নিয়ে আপনিই তো ভেজালটা লাগাইলেন।

সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাশে না থাকত, আমরা এই নির্বাচন সম্পন্ন হইতে পারত না। এটা কি আমাদের দল থেকে কেউ বলছে না আপনি বলছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন গয়েশ্বর রায়।

জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়, সেই কাগজটি কোথায়—এ প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতাযুদ্ধের সরাসরি আহ্বান জানিয়েছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘বড় বড় টুর্নামেন্টে যেমন সময়, স্থান, খেলোয়াড় দর্শক সব থাকে, কিন্তু রেফারি বা আম্পায়ার বাঁশি না দেওয়া পর্যন্ত খেলা শুরু হয় না।

তেমনি শেখ মুজিবুর রহমান সংগ্রামের টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন, সবাই বাঁশের লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যার যা ছিল তাই নিয়েই দাঁড়িয়ে ছিল। মানুষের এই চেতনাবোধকে জিয়াউর রহমান অনুভব করতে পেরেছেন, বুকে সাহস নিয়ে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানই সরাসরি স্বাধীনতাযুদ্ধের আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। আজকে জিয়াউর রহমানকে ছোট করে শেখ মুজিবকে বড় করতে পারবেন না, বলে মন্তব্য করে গয়েশ্বর।

জাতিকে রাহুগ্রাসের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এখনও পাওয়া যায়নি, এজন্য যুদ্ধ চলমান রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো. রহমতুল্লাহ, রফিক সিকদার, সাবেক যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হাওলাদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

বিএনএ/ সৈয়দ সাকিব, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ