বিএনএ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনেই জন্ম নিয়েছে ২১ শিশু। এদের মধ্যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বা নরমাল ডেলিভারিতে ১৯ জন এবং সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে ২ জন শিশু।
বুধবার (২৯ মার্চ) হাসপাতালের প্রসূতি ইউনিটে এই ২১ জন নবজাতকের জন্ম হয়। নবজাতক শিশু ও শিশুর মা উভয়েই সূস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মাহাফুজুল হক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারিতে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ২০০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৭ জন এবং মার্চে এ প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত ২০২ জন নবজাতকের জন্ম হয়েছে। এছাড়াও সিজারিয়ানের মাধ্যমে জানুয়ারিতে ৩৫ জন। ফেব্রুয়ারিতে ৩৮ জন ও মার্চ মাসে ৩৮ জন নবজাতকের জন্ম হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুল হক বলেন, ‘হাসপাতালে ১৫ বেডের লেবার ইউনিট চালু করেছি। তবে সিজারিয়ান অপশন চালু হওয়ার পর তা সংকুলান হচ্ছে না। আগে এখানকার অধিকাংশ ডেলিভারি করা হতো বাড়িতে, এখন এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। যেটা মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এখানে প্রসূতি মায়েদের সেবাদানের জন্য দুইজন গাইনি কনসালটেন্ট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের সাথে রয়েছেন ১২ জন মিডওয়াইফ। এছাড়াও নবজাতক শিশুদের উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য দুই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে আলাদা এনএসইউ ও কেএমসি ইউনিট।
প্রসূতি ইউনিটের ইনচার্জ মিডওইয়াফ সুস্মিতা দে বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন বেশির ভাগই নরমাল ডেলিভারি হয়। যেখানে রয়েছে চিকিৎসকদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা।
প্রসঙ্গত, দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৭ সালের আগে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা ছিল শূন্যের কোঠায়। পরে প্রসূতি ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে মায়েদের সেবাদানের কার্যক্রম শুরু হয়। তাতে মাঠ ও স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্স, জনপ্রতিনিধি, সচেতনমহল ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রতিবেদনের মাধ্যমে ওই সংবাদ উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ হাসপাতালমুখী হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৭ মে প্রথমবারের মত সিজারিয়ান বিভাগ চালু করা হয়।
অন্যদিকে উপজেলার সাথে জেলা সদর কক্সবাজারের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম নৌপথ। সেই নৌপথে রোগী পরিবহনের জন্য চলতি ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি উন্নতমানের ওয়াটার এম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে গত দুই মাসে ৪০ জন রোগীকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনএ/ফরিদুল, এমএফ