বিএনএ ডেস্ক: বাংলা নববর্ষ সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করতে পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন ধরনের মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের বানানো মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। একইসঙ্গে এদিন ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এই আহবান জানিয়েছেন। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, প্রক্টর বিভিন্ন অনুষদের ডীন, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।
নববর্ষ উদযাপনের নির্দেশনা সম্পর্কে সভায় বলা হয়েছে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও মেট্রোরেলের চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য চলাচলে সতর্কতা রেখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ উদযাপন করতে আহবান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে নববর্ষের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নববর্ষের আগের দিন সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোন গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। একইসঙ্গে নববর্ষের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোন যানবাহন চালানো যাবে না। মোটরসাইকেল চালানোও সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসকারীরা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে শুধুমাত্র নীলক্ষেত ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও বলা হয়েছে, নববর্ষের দিন টিএসসির সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ থাকবে। ওই দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে চারুকলা অনুষদের সামনে ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির সামনের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হতে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেইট ও বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশে-পাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বছর বাংলা নববর্ষ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে আহবায়ক করে ২৪ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনকে এই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়াও শৃঙ্খলা ও মঙ্গল শোভাযাত্রা বিষয়ক দুটি উপ-কমিটি করা হয়েছে।
প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীকে ১২ সদস্যের শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক লিটন কুমার সাহাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। একইসঙ্গে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনকে ৩২ সদস্যের মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর মো. নাজির হোসেন খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ