বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৯ মার্চ) রাতে কোতোয়ালী থানা ও ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দু’টি করা হয়।
পুলিশের দেওয়া উভয় মামলায় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম ও সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কোতোয়ালী থানা পুলিশের করা মামলায় শাহাদাত ও নাসিমন ভবন থেকে আটক ১৫ জনসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পুলিশের ট্রাফিক বক্সে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ট্রাফিক বিভাগের এক সার্জেন্টে বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন। নাসিমন ভবন থেকে আটক ১৫ জনকে ট্রাফিক বক্সে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আসামি করা হয়নি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাকা সমাবেশে আসা মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়া হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এরপর সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মারুফ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. আলীকেও আটক করেছে পুলিশ।
বিএনএনিউজ/জেবি