22 C
আবহাওয়া
১২:২৮ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে আলোচনায় বাংলাদেশ-ফিলিপাইন

রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে আলোচনায় বাংলাদেশ-ফিলিপাইন

রিজার্ভ

বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন। আলোচনায় অংশ নিতে গত শনিবার ফিলিপাইন গেছে বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এ সফরে তারা ফিলিপাইনের আদালতে চলমান একটি মামলায় সাক্ষ্য দেবেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলার বিষয়েও বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করবেন।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অর্থ উদ্ধারে অগ্রগতি বিষয়ে ফিলিপাইনের আইন বিভাগ, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করবে প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, বিএফআইইউ ও সিআইডির দুজন করে কর্মকর্তা। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাদের সঙ্গে সেখানে যোগ দেবেন। প্রতিনিধি দল ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবে।

এ বিষয়ে বিএফআইইউ-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ফিলিপাইনের সরকার ও আদালত বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করেন। ফিলিপাইনের আদালতে রিজার্ভ চুরির মামলা চলমান রয়েছে। সেই বিষয়ে ফলোআপ মিট করতে একটি প্রতিনিধি দল সেই দেশে গেছে। তাদের মধ্যে বিএফআইইউ ও সিআইডির কয়েকজন গেছেন ওই দেশের আদালতে সাক্ষ্য দিতে।’

এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ছাড়াও ফিলিপাইনের মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের সম্পত্তি ক্রোকের এক মামলায় সাক্ষ্য দেবে। মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আবেদনের বিষয়ে এ শুনানি হবে।

বিএফআইইউ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক বা ফেডারেল আদালতে ফিলিপাইনের বেসরকারি খাতের ব্যাংক আরসিবিসিসহ ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে এ মামলা করা হয়। পরে ওই মামলা বাতিলে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করে আরসিবিসিসহ ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ফেডারেল আদালত ২০২০ সালের ২০ মার্চ মামলা বাতিলের ওই আবেদন খারিজ করে মামলাটি ফেডারেল আদালতের বদলে স্টেট কোর্টে পরিচালনার নির্দেশ দেন।

ফেডারেল আদালতের ওই নির্দেশনার পর ২০২০ সালের ২৭ মে নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট তথা ডিস্ট্রিক্ট আদালতে নতুন করে মামলা করে বাংলাদেশ। নতুন আদালতেও মামলা বাতিলের আবেদন করেন আরসিবিসিসহ ছয় আসামি। তাদের এ আবেদনের ওপর একাধিক দফায় শুনানি হয়।

এদিকে সর্বশেষ ১৩ জানুয়ারি নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট আদালত যে রায় দিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ক্ষেত্রে আরসিবিসির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যোগসাজশ ছিল। আরসিবিসির নিউইয়র্কের হিসাব এবং আরসিবিসির ফিলিপাইনের অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না থাকলে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে এ অর্থ অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না। নিউইয়র্কের আদালত আরসিবিসিসহ অভিযুক্ত আসামিদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এই বিষয়ে মধ্যস্থতারও নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে নিউইয়র্কের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১০ কোটি টাকা) চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কা থেকে উদ্ধার করা হয়। বাকি ৮ কোটি ডলারের বেশি ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যায়। ওই অর্থ এখনো ফেরত পায়নি বাংলাদেশ। সেই অর্থ উদ্ধারে মামলা চলছে নিউইয়র্কের আদালতে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ