16 C
আবহাওয়া
৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ - জানুয়ারি ১, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » জেজু এয়ারের সিইও’র গভীর দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা

জেজু এয়ারের সিইও’র গভীর দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা

জেজু এয়ারের সিইও'র গভীর দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা

বিশ্ব ডেস্ক:  জেজু এয়ারের সিইও কিম ই-বায়ে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটিত মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার জন্য রবিবার গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২০ জন নিহত হয়েছেন। খবর কোরিয়ান হেরাল্ড এর।

“আমি গভীর অনুতাপ প্রকাশ করছি এবং নিহতদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি,” সিইও কিম রবিবার দুপুর ২টায় সিউলে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন। “দুর্ঘটনার কারণ যাই হোক না কেন, সিইও হিসেবে আমি নিজেকে দায়ী মনে করি।”

তিনি আরও বলেন, “এই মুহূর্তে দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত করা কঠিন, আমরা সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। তবে আমরা দ্রুততার সঙ্গে দুর্ঘটনা মোকাবিলা করতে এবং ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণে সরকারের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।”

এই বিবৃতিটি দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই আসে। রবিবার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭C২২১৬ মুআন বিমানবন্দরের রানওয়ে অতিক্রম করে সীমানা প্রাচীরের সাথে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়।

বিমানটিতে ১৮১ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্য ছিলেন, যার মধ্যে ১২০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। দুপুর ২:৪৫ পর্যন্ত দুইজন জীবিত পাওয়া গেছে, এবং ৫৯ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের অধিকাংশই নিহত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

নিহতদের মরদেহ মুয়ান বিমানবন্দরের একটি অস্থায়ী মর্গে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরপরই কিম সিউলের গাংসো জেলার এয়ার সাপোর্ট সেন্টারে একটি জরুরি সভা ডাকেন। এতে কোম্পানির নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের সব কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এবং পরিস্থিতি নির্ধারণের জন্য তদন্ত চালাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ল্যান্ডিং গিয়ার বিকল হয়ে জরুরি পরিস্থিতিতে বেলি ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হয়, যা রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে সীমানা প্রাচীরের সাথে ধাক্কা খায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিমানটি “বার্ড স্ট্রাইক”-এর শিকার হতে পারে, যেখানে একটি পাখি বা পাখির ঝাঁক বিমানের সাথে ধাক্কা খায় বা ইঞ্জিনে প্রবেশ করে, ফলে বিমানটি শক্তি হারায়।

জেজু এয়ার জানিয়েছে যে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি ১৫ বছর ধরে পরিষেবায় ছিল এবং পূর্বে কোনো দুর্ঘটনার রেকর্ড ছিল না।

আরও পড়ুন : দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ১৭৯

বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ