বিএনএ,ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৮১ আরোহী নিয়ে একটি বিমান অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় দুজন বাদে বিমানের সকল আরোহী নিহত হয়েছেন। ১৭৫ যাত্রী ও ৬ জন ক্রু নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে ফিরছিল জেজু এয়ারের বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন উড়োজাহাজটি। সূত্র : ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুর্ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে। যখন জেজু এয়ারের ফ্লাইটটি মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (মুআন কাউন্টি, দক্ষিণ জিওল্লা প্রদেশ) অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি বাউন্ডারি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এটি সিউল থেকে প্রায় ২৮৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
দেশটির সরকারি সূত্র জানায়, অবতরণের সময় বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খেলে আগুন ধরে যায় সেটিতে । এরপর দ্রুত আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখনও উদ্ধারকাজ চলছে; ১৮১ জনের মধ্যে দু’জনকে জীবিত বের করা হয়েছে। পাখির সাথে সংঘর্ষের জেরে ল্যান্ডিং গিয়ারে গোলোযোগ তৈরি হয়ে এ দুর্ঘটনা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর একজন যাত্রী এবং একজন ক্রু সদস্য – দুজন নারীকে উদ্ধার করা হয় এবং তাদের মোকপো শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের আঘাত গুরুতর নয়।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে মোট ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ৬ জন ক্রু সদস্য। বিমানটি ব্যাংকক থেকে রাত ১:৩০মিনিটে রওনা হয়েছিল এবং সকাল সাড়ে ৮টায় মুয়ানে পৌঁছানোর কথা ছিল।
যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই কোরিয়ান নাগরিক ছিলেন, তবে দুইজন থাই নাগরিকও ছিলেন।
মুয়ানে বিমানবন্দরের ভেতরে অস্থায়ী মর্গ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ রাখা হচ্ছে।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, বিমানটি অবতরণের সময় এর ল্যান্ডিং গিয়ার নামানো হয়নি। বিমানটি মাটিতে স্কিড করতে করতে একটি কংক্রিটের দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে বিস্ফোরিত হয় এবং আগুনে পুড়ে যায়।
কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, একটি পাখি ধাক্কা লাগার কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ না করার ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণে তারা ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছেন।
বিএনএনিউজ/ আরএস, এসজিএন