একটি গর্ভবতী ছাগল একটি উদ্ভট মানুষের মুখের বিকৃত বাচ্চার জন্ম দিয়েছে,যা ভারতের গ্রামবাসীকে অবাক করে দুচিন্তায় ফেলেছে। তাদের অনেকের মতে, এটি ওই এলাকার জন্য অশুভ কোন ঘটনার আগাম লক্ষণ।
ছাগল ছানাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের গঙ্গাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিল। কিছু সময় পরে সেটি মারা যায়। এটি ছিল ছাগীটির দ্বিতীয় ছানা।
ছাগলের মালিক শঙ্কর দাস (৪৬) বলেন, বাচ্চাটি জীবিত জন্মেছিল, কিন্তু দুঃখজনকভাবে পরে মারা যায়।
উদ্ভট চেহারার প্রাণীটির দুটি পায়ের মত অঙ্গ এবং একটি মুখ, নাক এবং মুখ নিয়ে জন্মেছিল যাকে দেখে কেউ কেউ বলেন, প্রায় মানুষের বাচ্চার মতো।
কিন্তু লেজ ছিল না,চেহারা অনেকটা বিকৃত ছিল এবং কানগুলিও বিকৃত ছিল,নয় ছাগল নয় মানুষের ন্যায়।
এটিও জন্মেছিল শরীরে কোনো লোম ছাড়াই।
অস্বাভাবিক ছাগল ছানার জন্মের ঘটনায় ছাগলের মালিক শঙ্কর দাস হতবাক ছিলেন। তিনি বলেন, আগে কখনও এ রকম ছাগল ছানার দেখতে পান নি।
তিনি বলেন, উদ্ভট ছাগল ছানাটির জন্মের খবরে প্রতিবেশীরা আমাদের বাড়িতে ছুটে আসে। মানুষের বাচ্চার মতো চেহারা দেখে সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিল”।
মারা যাবার পর ছাগল ছানাটিকে কবর দেয়া হয়।
ভারতে, একটি প্রাণী বা মানুষের বিকৃত জন্ম তার মালিকদের জন্য একটি অশুভ লক্ষণ বা দুর্ভাগ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
“অনেক এলাকায়, এটিকে অশুভ কোন ঘটনার সতর্কতা হিসাবে নেয়া হয়। মানুষ মিউট্যান্টের জন্মকে আল্লাহর কেরামতি হিসাবে দেখেন,” স্থানীয় বাসিন্দা রাকেশ কুমার ।
আরও পড়ুন : রাতভর সাথে থাকলেও জীবন্ত শিশুটির একটুও ক্ষতি করে নি কুকুর ছানাগুলো
বিএনএনিউজ২৪,জিএন