বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক, ঢাকা: কচুরিপানা একটি ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। খাল-বিল-পুকুর-নদীতে জন্ম নেওয়া কচুরিপানাকে অনেকেই অপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল উদ্ভিদ বলে মনে করে থাকেন। সেই কচুরিপানা প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে! হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এমনই পরামর্শ দিলেন ভারতের বীরভূম রাজ্যের প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। কচুরিপানা দিয়ে সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করলেই আয় হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি দফতরের পক্ষ থেকে শিল্প সমন্বয় সম্মেলনের (সিনার্জি) আয়োজন করা হয়েছিল। নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রশাসন ও শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তারা। ছিলেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী। সেখানেই এই অভিনব শিল্পের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরে খাল-বিল উৎসব করে আসছি। বিভিন্ন জায়গায় যে বিরাট বিরাট জলাশয় আছে সেখানে প্রচুর কচুরিপানা জন্মায়। মাছ বড় করতে গেলে জলাশয় থেকে কচুরিপানা সরাতে হবে। আমাদেরই ওখানকার একটা ছেলে কচুরিপানা দিয়ে নানা সামগ্রী তৈরি করতে শুরু করেছে।’ তিনি জানিয়েছেন, জল থেকে তুলে কচুরিপানাকে শুকিয়ে তা থেকে নানা সামগ্রী বানানো যায়। কচুরি পানা শুকিয়ে বিক্রি করলেই কেজি প্রতি ২৫ টাকা পাওয়া যায়। মন্ত্রী জানিয়েছেন কচুরিপানা থেকে গয়নার বাক্স, ফল রাখার পাত্র, টেবিলের উপরে গরম জিনিস রাখার ম্যাট তৈরি করা যায়। আর এইভাবেই স্বনির্ভর হয়ে রাজ্যে নতুন শিল্পের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
এই কাজে পাশে থাকবে সরকার। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘বেসরকারি ভাবে খাল-বিল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সেই কচুরিপানা কিনে নেবে। তিন মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা প্রশিক্ষণ নেবেন তাঁদের দিয়ে সামগ্রী বানানোর ব্যবস্থা হবে। এরপর সরকারকে বলব, এদের জন্য যদি কিছু করার থাকে তো করো।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ