বিএনএ কুমিল্লা: কুমিল্লায় মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার দায়ে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের আরও একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। এতে দেখা যায়, রাত আড়াইটায় কক্সবাজারের চকোরিয়ায় সবুজ পাহাড় মসজিদের মিম্বরে উঠে আজান দেন ইকবাল। আজান শুনে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। সে সময় তার কাছে গামছায় প্যাঁচানো একটি কোরআন শরিফ পাওয়া যায়।
তখন স্থানীয়রা পরিচয় ও ঠিকানা জানতে চাইলে ইকবাল জানান, তার বাড়ি কুমিল্লায়। যাবেন কক্সবাজারে। সেখানে গিয়ে সে হোটেলে চাকরি করবে। পরে গামছা ও কোরআন রেখে একটি শার্ট দিয়ে তাকে কক্সবাজারের গাড়িতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। গ্রেফতার হওয়ার সময় তার গায়ে ওই শার্টটি ছিল।
কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) খান মো. রেজওয়ান জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চকরিয়ার শেষ প্রান্তে ইকবাল একটি মসজিদ থেকে কোরআন চুরি করে রাস্তায় বসে পড়তে থাকে। পরে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে ফেলে এবং কোরআন রেখে ছেড়ে দেয়।
গত ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়া দীঘির পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে পবিত্র কোরআন শরিফ দেখতে পাওয়া যায়। এ নিয়ে তৈরি হয় অশান্তি। চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় যার রেশ পড়ে।
পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মাজার সংলগ্ন মসজিদ থেকে এক ব্যক্তি কোরআর শরিফ নিয়ে এসে এ অপকর্ম ঘটায়। যাতে চিহ্নিত হয় ইকবাল। পরে কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কুমিল্লা নগরীর সাহাপাড়া এলাকায় ইকবালের বাড়ি। পৈতৃক ভিটা বিক্রির পর সেখানকার রবীন্দ্র চন্দ্রের বাড়িতে চার মাস ধরে ভাড়া থাকে তার পরিবার। তাকে নিয়ে বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদেরও তেমন ধারণা নেই। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইকবাল একসময় সীমান্তপথে চোরাই পণ্য বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল।
তার ইকবালের মা বিবি আমেনা ও ভাই রায়হানের দাবি, ইকবাল মাদকাসক্ত। বখাটেপনার কারণে বিভিন্ন সময় গণপিটুনির শিকারও হয়েছে। সপ্তম শ্রেণি পাশ করা ইকবাল দুইবার বিয়ে করেছে। তার দুইটি সন্তানও আছে। কিন্তু ইকবালের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় আছে কিনা, সেটি জানা যায়নি। কেন সে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করছে তা জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি