বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক: আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের আসল রূপ বের হয়ে আসছে। এবার দেশের সবচেয়ে বড় কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকা, অফিসারদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। বুধবার সদ্য নিযোগপ্রাপ্ত স্নাতকধারী তালিবান-পন্থী উপাচার্য আশরফ গৈরাট এ নিষেধজ্ঞা জারি করেছেন।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য বলেন, ‘‘যত দিন পর্যন্ত দেশে ইসলামি আবহ তৈরি না-হচ্ছে, তত দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমি মেয়েদের এখানে প্রবেশ করতে দিতে পারি না। আগে ইসলাম, পরে অন্য সব কিছু।’ মেয়েদের স্কুল প্রসঙ্গে তিনি কয়েক দিন আগেই বলেছিলেন, ‘‘সেগুলো যৌনদাসী তৈরির কারখানা।’
উল্লেখ, গত সপ্তাহে উচ্চশিক্ষিত ও বর্ষীয়ান মহম্মদ ওসমান বাবুরিকে সরিয়ে উপাচার্য করা হয় তরুণ স্নাতকধারী তালিবান-পন্থী আশরফ গৈরাটকে। যার প্রতিবাদে ইস্তফা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষক।
গত ১৫ আগষ্ট কাবুল পতনের পর তালেবান পক্ষ থেকে মুখপাত্র জ়বিউল্লা মুজাহিদ বারবার দাবি করেছিলেন, পূর্বতন তালেবান এক নয়। ১৯৯৬-২০০১ সালের জমানার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এ বার। নয়া রূপে তালেবান কে দেখতে পাবে গোটা বিশ্ব। কিন্তু তা যে নিছকই কথার কথা, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথ এবং নারীদের চাকুরিতে নিষেজ্ঞা জারির মতো ঘটনায়।
সম্প্রতি তালেবান মহিলাদের নিপীড়ন, সংবাদমাধ্যমের উপরে আক্রমণ থেকে শুরু করে শিশু হত্যা নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই চলেছে।
বিএনএনিউজ২৪,ওয়াইএইচ,জিএন