21 C
আবহাওয়া
৯:১২ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান- মিজানুর রহমান মজুমদার

মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান- মিজানুর রহমান মজুমদার

দৈনিক ফেনীর আয়োজনে ভোরবাজার যুদ্ধের ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা

বিএনএ, ফেনী: বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ), বিএনএনিউজ২৪ ডটকম সম্পাদক, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মজুমদার বলেছেন, সব মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সমান। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধারা কোন কিছু প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। দেশের প্রতি মমত্ববোধের কারণে নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

তিনি নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে জানুন, সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করুন।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ফেনীর ইস্টিশন রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স হলে ভোরবাজার যুদ্ধের ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত আহবান জানান।

মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যহত রাখতে হবে।

১৯৭১ সালের ১৭ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ভোরবাজারের যুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যে ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করেছে দৈনিক ফেনী। সেদিন পাকিস্তানি পিশাচ সুবেদার মেজর গুল মোহাম্মদের মাথা কেটে নিয়েছিল মুক্তিবাহিনী।

ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ভোরবাজার সেই যুদ্ধে অংশ নেওয়া ৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবু ইউসুফ, সাবেক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আহমদ।

দৈনিক ফেনীর আয়োজনে ভোরবাজার যুদ্ধের ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার প্রদান করছেন মিজানুর রহমান মজুমদার

ভোরবাজার যুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্মিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ১৯৭১ সালের ১৭ আগস্ট সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ভোরবাজার গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়েছিল। বারুদের গন্ধে যুদ্ধ জয়ের নেশা জেগেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। দিনটি ছিল মঙ্গলবার, অন্যান্যদিনের মতো পাকিস্তানি হানাদার সুবেদার মেজর গুল মোহাম্মদের নেতৃত্বে জনপদে লুটপাট ও নির্যাতন করতে থাকে পাকিস্তানি হায়নারা। তখন স্থানীয় ২৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা রুখে দাঁড়ায়। এ যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল পাকিস্তানিরা। গুল মোহাম্মদের মাথা কেটে নেয় মুক্তি বাহিনী। এদিন হানাদারদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন শহীদ শফিউল্ল্যাহ মানু। ভারতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গুল মোহাম্মদের মাথা জমা দিয়ে গোলাবারুদ ও অস্ত্র উপহার পান মুক্তিযোদ্ধারা।

আরও পড়ুন: পশ্চিম মধুগ্রাম জামে মসজিদে অনুদান দিলেন মিজানুর রহমান মজুমদার

আয়োজন প্রসঙ্গে দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী জানান, একসময় এ সকল মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আগামীর প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করতে ও বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে আমাদের এ আয়োজন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী ভূমিকাগুলো আমাদেরকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে।

ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী পরবর্তী আলোচনা সভায় বক্তব্য রেখে যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু ইউসুফ।

বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ), বিএনএনিউজ২৪ ডটকম সম্পাদক, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবু তাহের, সময় টেলিভিশনের ফেনী ব্যুরো প্রধান বখতিয়ার মুন্না।

দৈনিক ফেনীর আয়োজনে ভোরবাজার যুদ্ধের ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা
বক্তৃতা করছেন মিজানুর রহমান মজুমদার

বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) সম্পাদক, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মজুমদার আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে কোন মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা এ প্রসঙ্গে কোন অনুষ্ঠান যেখানে হোক খুব দ্রুত চলে যেতে ইচ্ছে করে। যদিও মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি খুব ছোট ছিলাম। আমার পরিবারের সবাই মুক্তিযুদ্ধের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। আমাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকগুলো বাঙ্কার ছিল। সেখানে যুদ্ধ হয়েছে। আমাদের বাড়ি এক পর্যায়ে রাজাকারেরা পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার বাবা সুলতান আহমেদ মজুমদার এবং জেঠা শফিকুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। উনারা ট্রেনিং দিয়েছেন। এক চাচা যুদ্ধাচলাকালীন সময়ে পাকিস্তানীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। মূলত এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ সংক্রান্ত কোন অনুষ্ঠান হলে দ্রুত অংশ নেয়ার চেষ্টা করি।

দৈনিক ফেনী সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফ রিজভীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজিজ রাজীব, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জিলা আক্তার মিমি, নবাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব, নবাবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান দারা, দৈনিক আমার ফেনী সম্পাদক জমির উদ্দিন বেগ, দৈনিক নয়াপয়গাম সম্পাদক এনামুল হক পাটোয়ারী, সময় টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারি প্রতিবেদক আতিয়ার সজল, যমুনা টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক আরিফুর রহমান, দৈনিক প্রভাত আলোর বার্তা সম্পাদক মো. আবু জাফর ভুঞা, দৈনিক ফেনীর নির্বাহী সম্পাদক দিদারুল আলম, বাংলানিউজ২৪ডট কমের নিজস্ব প্রতিবেদক ডালিম হাজারী, দৈনিক ফেনী ডেস্ক ইনচার্জ আমিরুল ইসলামসহ দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদান দিলেন আ’লীগ নেতা মিজানুর রহমান মজুমদার

বিএনএনিউজ/ এবিএম নিজাম উদ্দিন, বিএম, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ