বিএনএ, ঢাকা:রাজধানীর যাত্রাবাড়ি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে ম্যানহোল (সুয়ারেজ লাইন) পরিস্কার করার সময় বিষাক্ত গ্যাসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামিন (৪৫) ও সাইফুল ইসলাম কে (৫৫) অচেতন অবস্হায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুইজনকে দুপুরে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরের দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।
তিনি জানান, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের পাশে একটি ম্যানহোলের (সুয়ারেজ লাইন) পরিষ্কার করতে নেমে দুইজন অচেতন হয়ে মারা যান। খবর পেয়ে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিসের পোস্তগোলা স্টেশনের লিডার নুরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সায়েদাবাদ ওয়াসা রোড মাদরাসা গলিতে ম্যানহোলের ভেতর থেকে তাদের দুজনকে উদ্ধার করা হয়।ম্যানহোলের বিষাক্ত গ্যাসে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ দিকে তাদের ঠিকাদার মো. কাইয়ুম জানান, তিনি চুক্তিতে ওয়াসার বিভিন্ন ময়লা পরিষ্কারে কাজ করে থাকেন। আর দিনমজুরের মাধ্যমে সুইপার দিয়ে সেই কাজ করান। শনিবার সকালে ছয়জন সুইপার নিয়ে সেখানে কাজে যান। প্রথমে ম্যানহোলের ঢাকনাটি আড়াই ঘণ্টা খুলে রাখেন যাতে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে যায়। এরপর সাইফুল প্রথমে ম্যানহোলের ভেতরে নামেন। সেখানে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসার জন্য নাকে-মুখে গামছা বেঁধে আলামিন নামেন। নামার পর সেও অসুস্থ হয়ে যায়। ঘটনার ভয়াবহতা টের পেয়ে তারা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
নিহত আল-আমিনের ছোট ভাই মোবারক হোসেন জানান, তারা থাকেন সায়েদাবাদ ওয়াসা কলোনিতে। তাদের বাবার নাম মো. আজাদ। সকাল ৮টার দিকে আল-আমিন বাসা থেকে বের হয়ে কাজে যান। এরপর দুপুরে তার মৃত্যুর খবর পান তারা। নিহত সাইফুলের বাবার নাম মো. রফিক। তিনিও সায়েদাবাদ এলাকায় থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনর্চাজ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বিএনএ/ আজিজুল, ওজি
