বিএনএ, ফেনী: ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট। অনেক প্রতিক্ষার পর ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে এসপেক্টা অক্সিজেন লিমিটেডের একটি ট্যাংকার থেকে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে স্থাপিত প্লান্টে অক্সিজেন রিফিল করে। বাকী কাজ শেষ করে পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পরই দুই একদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী প্রধান অতিথি হিসেবে এটির উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এতদিন অক্সিজেন সরবরাহের অভাবে আইসিইউ চালু করা যায়নি। ট্যাংক স্থাপনের ফলে জেলায় অক্সিজেন-সংকট থাকবে না। এ অক্সিজেন দিয়েই পর্যায়ক্রমে ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করা যাবে। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য জনপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন লাগে। হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংক না থাকায় সরবরাহে বিঘ্ন ঘটত। অনেক রোগীকে ঢাকা, চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হতো।এখন থেকে রোগীদের সঠিক সময়ে অক্সিজেন সেবা দেওয়া যাবে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, ফেনীর এ হাসপাতালে দিন দিন করোনা ও উপসর্গে আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় ৬ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে ইউনিসেফ। চলতি মাসের শুরুর দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল কম্পাউন্ডের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে স্থাপিত বৃহদায়কার ট্যাংককে বুধবার রাতে লিকুইড অক্সিজেন রিফিল করা হয়েছে। এখন ইউনিসেফের লোকজন এটি পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকদিন চালু রাখবে। এটি নিয়মিত হলে হাসপাতালের ২৫০ শয্যায় নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে। অক্সিজেন সংকটে অন্তত কোন রোগী ঢাকায় অথবা চট্টগ্রামে যেতে হবেনা।
হাসপাতালটির তত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, প্রতিদিনই ফেনী জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এমতাবস্থায় হাসপাতালটির সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম ও সিলিন্ডার দিয়ে রোগীর অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। বড় বিপর্যয়ের আগেই লিকুইট অক্সিজেন প্লান্টে রিফিল করে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু করতে পারায় তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, করোনা ইউনিটে ভর্তিকৃত প্রায় সব রোগীর জন্যই অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন হচ্ছে। এমতাবস্থায় এটি করোনা ইউনিটের জন্য প্রধান নিয়ামকের ভূমিকায় রয়েছে। প্লান্টটি নিয়মিত হলে হাসপাতালটিতে অক্সিজেনের জন্য আর কোন টেনশন করতে হবেনা।
বিএনএনিউজ,এবিএম নিজাম উদ্দিন,এসজিএন